ক্রাইমবার্তা রিপোট: দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আসনের এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটনের ময়নাতদন্তে ফুসফুস লিভার, পেটে প্রচুর পরিমান জমাটবাধা রক্ত পেয়েছে ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা। উদ্ধার করা হয়েছে ১ টি গুলি। বুকে ও হাতে ৫ টি গুলি ময়না তদন্ত শেষে রোববার সকাল ৭ টা ৩৫ মিনিটে এই তথ্য জানান রংপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনিমেষ মজুমদার।
সকাল ৯ টায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিমঘর থেকে তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয় মর্গে। সেখানে রংপুর মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. নারায়ন চন্দ্র সাহার নেতৃত্বে ডা. খায়রুল ইসলাম ও ডা. রেজাউল করিম তার ময়না তদন্ত করেন।
ময়না তদন্ত শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনিমেষ মজুমদার জানান, এমপি লিটনের বুকে তিনটি এবং হাতে দুই টি গুলি করা হয়েছিল। বুকে সামন দিক থেকে দুইটি এবং পেছন দিক থেকে একটি গুলি করা হয়। তার শরীর থেকে একটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তার ফুসফুস লিভার, পেটে প্রচুর পরিমান জমাটবাঁধা রক্ত পাওয়া গেছে। ময়না তদন্তের পর তার লাশ নামাজে জানাযার জন্য পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ময়না তদন্তের সময় মর্গের সামনে ছিলেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, এসপি মিজানুর রহমান, কোতয়ালী থানার ওসি জাহিদুল ইসলামসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা। এছাড়াও সেখানে ছিলেন তার স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদা জাহান স্মৃতি, দুলভাই ড. আব্দুল্লাহেল বারি, বড় বোন আফরোজা বাড়ি, স্ত্রীর ভাই দিদারুল আহসানসহ স্থানীয় নেতাকর্মী ছাড়াও রংপুর মহানগর আওয়ঢামীলীগের সভাপতি শাফিয়ার রহমান শফি, সেক্রেটারী তুষার কান্তি মন্ডল ছাড়াও বিপুল পরিমান নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।