লক্ষ্মীপুরে মাদক ব্যবসায়ীর ১৫ জন স্ত্রী

ক্রাইমবার্তা রিপোট: আলমগীর হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের মাদক ব্যবসায়ী আবদুর রহিমের ১৫ জন স্ত্রী। সে এলাকায় গাঁজা ও মদ বিক্রি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই একই উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের ভোয়ালিয়া এলাকার কাজীর দিঘির বাড়ির মোহাম্মদের পুত্র।1
এলাকা বাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন থেকে আবদুর রহিম একের পর এক বিয়ে করে আসছেন। তবে গোপনে মাদক ব্যবসায়া চালিয়ে আসলেও এলাকার লোকজন মুখ খুলতে রাজি নয়। তবে সেই এই পযর্ন্ত্র ১৫ টা বিয়ে করেছে বলে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ী আবদুর রহিম সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি কয়েকটি বিয়ে করেছি কথা সত্য কিন্তু মাদক বিক্রি করি না। ১৫ টা বিয়ে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,  ক্ষিপ্ত হয়ে তার চররুহিতার স্ত্রীকে বিভিন্ন ভাষায় গাল-মন্দ করেন। অবশেষে স্ত্রী জাহানারাকে কেটে  টুকরো  টুকরো করে পেলবে বলেও হুমকি দেন। কারণ জানতে চাইলে , সে আমার নামে  মিথ্যা মামলা দিয়ে ৪ মাস আমাকে জেলে রেখেছে। আমি এখন স্এিনজি চালাই। তবে সিএনজির কোন নাম্বার জানাতে পারেননি তিনি।
মাদক ব্যবসায়ী আবদুর রহিমের পিতার মোহাম্মদ জানান, একের পর এক বিয়ে করার কারনে তার সাথে আমাদের পরিবারে কোন সম্পর্ক নেই। সেই এই আসে এই যায়। তবে সে মাদক বিক্রি করে না বলে জানান তার পিতা।
নাম প্রকাশই অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, আবদুর রহিম এই পযর্ন্ত প্রায় ১৫ টি বিয়ে করেছে। এর মধ্যে সোনাপুর,মাইজদি.নোয়াখালী, রামগঞ্জ , বশিকপুরে , সদরে , মান্দারী, মোল্লার হাট, চন্দ্রগঞ্জ সহ বিভিন্ন জায়গায় তার একাধিক স্ত্রী রয়েছে বলে জানিয়েছে এই সূত্রটি। তারা আরো জানায়, সে বিয়ে করে কয়দিন বাড়িতে রেখে পরে তাকে তাড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে এলাকায় কয়েকটি স্ত্রীর স্থানীয় ভাবে মিমাংশা করা হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ইউসুপ জানান, সেই কয়েক মাস পর পর একটি করে বিয়ে করে , টাকা পয়সা কিছু আদায় করে তাকে মারধর করে ছেড়ে দেয়। যৌতুক মামলা সেই কয়েক মাস জেলও খেটেছে। তবে সে মাদক বিক্রি করে কিনা আমি জানিনা।
রহিমের স্ত্রীর জাহানারা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার স্বামী পান থেকে চুন খঁসলেই” স্ত্রীর দোষ ক্রটি ধরে, রাগারাগি করে, সামান্য ভুলেও বকাঝকা খেতে হয় স্বামীর কাছে। বিবাহিত স্ত্রীদের ও শারীরিক নির্যাতন,মানষিক নিযাতন করে , স্ত্রীদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করে , স্বামীর অত্যাচারে নিযাতর্ন সহ্য না করতে পেরে একের পর এক সবাই পালিয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, আবদুর রহিমের আমি ৪র্থ স্ত্রী সামাজিক ভাবে আমাকে বিয়ে করে, আমার স্বামী আবদুর রহিম, আমার মা-বাবা কেউ নেই । এই পৃথিবীতে আমি একা। আমার স্বামী আমাকে মারধর করে বের করে দিয়েছে। আমি এখন রাস্তা ভিক্ষা করে কোনো রকম জীবন যাপন করছি। আমার স্বামী বিভিন্ন সময় আমাকে শারীরিক, অর্থনৈতিক, যৌতুক দাবি করতো ,আমি যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকৃতি করলে আমাকে সিগেরেটে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিত।  এই নির্যাতনের কারনে আমি তার বিরদ্ধে লক্ষ্মীপুর চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রে আদালতে যোতুক মামলা করি। সেই মাদক বিক্রি করে  আমি জানি। এই সব নোংরা কাজ করার কারনে আমি তাকে বাধাঁ দেওয়ায় আজ আমার এই দশা। কে করবে এ্র বিচার ? আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষন করছি। মাদক ব্যবসায়ী আবদুর রহিমকে গ্রেফতার করে সমাজের যুবক, যুবতীদের কে রক্ষা করার জন্য অনুরোধ জানায়।

Please follow and like us:

Check Also

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তান নিয়ে ট্রেনের নিচে নারীর ঝাঁপ: মারা যান মা-ছেলে

হাজীগঞ্জে এক বছরের সন্তান আব্দুর রহমানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন মা তাহমিনা (২৩)। এতে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।