তালা ঝুলছে সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনে

ক্রাইমর্বাতা রির্পোট  সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে একজন সাবেক কমান্ডার তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। কেনো কি কারণে তাদের দ্বিতীয় আবাস মুক্তিযোদ্ধা ভবনে তালা লাগানো হলো তার কৈফিয়ত তলব করেছেন তারা।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদ্য বিদায়ী কমান্ডার মোশাররফ হোসেন মশু জানান, সোমবার দুপুরে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে পুরানো দোতলা ভবনটিতে থাকা মুক্তিযোদ্ধা অফিস ও মিলনায়তন আটকা পড়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কলাপসিবল গেইটে তালা ঝুলিয়ে লাল স্কচ টেপ লাগিয়ে বলা হয়েছে. স্থান পরিবর্তন নতুন কমপ্লেক্স ভবন। তিনি জানান, তালা লাগানোয় মুক্তিযোদ্ধারা সোমবার বিকাল থেকে সেখানে বসতে পারছেন না। এ ঘটনায় নিচতলায় ভাড়া দেওয়া দোকানপাটের মালিকরাও হতাশ হয়েছেন। তারা জানান, নানা কারণে তাদের ওপর তলায় যেতে হয়, তাও বন্ধ হয়ে গেছে। অপরদিকে সাধারন মুক্তিযোদ্ধারা এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।
উল্লেখ্য, যে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদ্য সাবেক কমান্ডার মোশাররফ হোসেন মশুর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এস.এম মোস্তফা কামাল জেলা প্রশাসক হিসাবে ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর সাতক্ষীরায় যোগদানের পরই তিনি তার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। এখন জেলা প্রশাসকই ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বলে জানান তিনি।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মীর মাহমুদ হাসান লাকী সেখানে তালা ঝুলিয়েছেন এমন অভিযোগ সম্পর্কে তার জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে তালা ঝুলিয়েছেন জেলা প্রশাসকের নাজির। এর সাথে আমি জড়িত নই। তিনি আরও বলেন, আজ জেলা প্রশাসকের সাথে আমাদের বৈঠক হয়েছে। সাবেক দুই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমি এবং মোশাররফ হোসেন মশু এক যৌথ বিবৃতি দেব। এতে বলা হবে বিষয়টি ভুল বুঝাবুঝি মাত্র। তিনি বলেন, পুরান সংসদ ভবন খুলে দেওয়া হচ্ছে কিছুক্ষনের মধ্যে। তবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সব কার্যক্রম চলবে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে নতুন বহুতল ভবনে।
এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের কাছে ফোন করা হলে তিনি বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদে কে এবং কেনো তালা দিয়েছে। আমি এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বৈঠক করছি। পরে জানাবো। কিছু সময় পর জেলা প্রশাসক ফোন করে বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে সরকারিভাবে তৈরি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স ভবনে এখন থেকে অফিসিয়াল কাজ কর্ম হবে। তা ছাড়া মুক্তিযোদ্ধারাও সেখানে বসবেন। অপরদিকে খাল ধারের বর্তমান দোতলা ভবনটি সরকারের কাছ থেকে জমি লীজ নিয়ে তৈরি করা হয়। এই ভবনটির মিলনায়তন ব্যবহারের জন্য খোলা থাকবে। অন্য কক্ষগুলি পরে আলোচনা করে ব্যবহার করা হবে। তালা ঝুলানোর বিষয়ে কোনো ব্যক্তিকে কালার করা ঠিক নয়। তিনি বলেন, সংসদ ভবন খুলে দেওয়া হবে। এতে ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটবে বলে জানান তিনি।

Please follow and like us:

Check Also

২৮শে এপ্রিল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারেও ক্লাসের পরিকল্পনা

আগামী ২৮শে এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।