ঢাকা, ১৯ মে : ইসরাইলের সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের যোগসাযশে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ গ্রেপ্তার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এম নেতা আসলাম চৌধুরীর দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যেই তার কব্জায় থাকা শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে বলে জানা গেছে। বুধবার কমিশনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েই তার দুর্নীতি অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্টরা নেমে পড়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। দুদকের জনসংযোগ বিভাগও এ অনুসন্ধানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছে, উপপরিচালক নাসির উদ্দিনকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ওই অনুসন্ধানের তদারককারী কর্মকর্তা হিসেবে থাকছেন পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
আদালতে জমা দেয়া পুলিশের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসলাম চৌধুরী গত ৫ থেকে ৯ মার্চ বাংলাদেশের সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের কাজে ভারতে যান। তিনি ভারতে থাকার সময় বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কবহির্ভূত রাষ্ট্র ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের নীলনকশা করেন।
ওই নীলনকশা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাতের জন্য সন্ত্রাস, নাশকতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করেন; যা দেশের অখ-তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং এ জন্য মোসাদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
জানা যায়, বহুল আলোচিত এ আসলাম চৌধুরীর মালিকানাধীন রাইজিং গ্রুপের একাধিক সিএনজি স্টেশন, লবণ কারখানাসহ শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে দুদকের কাছে। ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে কথিত বৈঠকের বিষয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গত রবিবার গ্রেপ্তার হন বিএনপির নবনিযুক্ত যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী। সোমবার তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এবিএন/বুধ-২য়/অপরাধ/ডেস্ক/এমআর/মুস্তাফিজ/মাম