ক্রাইমবার্তা রিপোট: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর অভিমুখে শিক্ষার্থীদের লংমার্চে বাধা দিয়েছে পুলিশ।নাসিরনগর উপজেলাসহ সারা দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল থেকে শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত এলাকা অভিমুখে রওনা দিতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ, সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ ও মাইনরিটি রাইটস মুভমেন্ট নামের তিন সংগঠনের ব্যানারে লংমার্চে যাচ্ছিলেন তারা। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিরাপত্তার স্বার্থে বাধা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আন্দোলনের সমন্বয়ক পুলিশের এই বক্তব্য ‘ভিত্তিহীন অজুহাত’ উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, তিতুমীর কলেজসহ ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা তুলেছি। আমরা এ অর্থ ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পুলিশ নিরাপত্তার অজুহাতে আমাদের সেখানে যেতে দেয়নি।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আজ লংমার্চ স্থগিত করছি এবং আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে যদি আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। ’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘গতকাল তারা আমাদের কাছে ৩টি মাইক্রোবাস নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিল। আমরা অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু আজ তারা মাইক্রোবাসের সঙ্গে অতিরিক্ত একটি বাসও নিচ্ছিল। এত বেশি লোক সেখানে জমায়েত হলে তাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। তাই আমরা বাধা দিয়েছি। তবে মাইক্রোবাস নিয়ে গেলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
এর আগে গত ১৫ নভেম্বর শাহবাগে একই দাবিতে অবরোধ চলাকালে এ লংমার্চের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি হলো- মন্ত্রী ছায়েদুল হককে বহিষ্কার, ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের ঘরবাড়ি ও মন্দির সরকারি খরচে পুনর্নির্মাণ, উসকানিদাতা, মদদদাতা ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নিখোঁজ হিন্দু পরিবারগুলোকে খুঁজে বের করে পুনর্বাসন করা, সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীন সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা।