ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :নিজের নামে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ছাত্রদের সাথে প্রতারণা করার তিনটি অভিযোগ আড়াই কোটি ডলার দিয়ে নিষ্পত্তি করছেন হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে রিয়েল স্টেট ব্যবসার ‘গোপন কৌশল’ শেখানো হবে এবং এর জন্য ট্রাম্প স্বয়ং প্রশিক্ষক বাছাই করবেন করবেন, এমন এক প্রতিশ্রুতির পর সেখানে মাথাপিছু ৩৫ হাজার ডলার দিয়ে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হন।
পরে এই শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকেই ক্যালিফোর্নিয়া ও নিউইয়র্কের আদালতে তিনটি অভিযোগ দায়ের করা হয়, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করার মাধ্যমে প্রতারণা করার অভিযোগ এনে।
ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে আদালতের বাইরে অভিযোগটি নিষ্পত্তি কার সুযোগ থাকলেও, ট্রাম্প বরাবরই বলে আসছিলেন, তিনি এই অভিযোগ নিষ্পত্তি চান না, কারণ তিনি মনে করেন মামলায় তিনি জিতবেন।
কিন্তু এখন ট্রাম্পের অর্থদণ্ড দিয়ে অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে রাজী হওয়াটা নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক শ্নেইডারম্যানের চোখে অভিযুক্তের ‘চমকপ্রদ পিছু হটা’ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ‘বিরাট জয়’।
তিনটি অভিযোগের মধ্যে একটির বিচার কার্যক্রম চলতি মাসের শেষভাগেই শুরু হওয়ার কথা, যদিও ট্রাম্পের আইনজীবীরা বিচার বিলম্বিত করবার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প ইউনিভার্সিটি ছিল প্রতারক।
২০১০ সালে ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়।
‘সংস্থাটি মরিয়া মানুষকে শিকার করবার জন্য মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিত’, বলছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
তিনি তার বিবৃতিতে বলেছেন, “আজকের এই আড়াই কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ চুক্তি ওই প্রতারক বিশ্ববিদ্যালয়টির ৬ হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিরাট বিজয়”।
“তারা আজকের ফলাফলের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করেছে।”
এর আগে ক্যালিফোর্নিয়ার অভিযোগ দুটিকে উভয় পক্ষকে আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি করতে বলেছিলেন ডিসট্রিক্ট জাজ গনজালো কুরিয়েল।
তার জবাবে গত জুন মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমি ট্রাম্প ইউনিভার্সিটি মামলায় জিতব। যতদূর আমি মনে করি, এরই মধ্যে আমি জিতে গেছি”।
“আমি মামলাটি নিষ্পত্তি করতে পারতাম। কিন্তু আমি করবোনা বলেই ঠিক করেছি”।
নিষ্পত্তির এ ঘটনা সম্পর্কে জানেন এমন একটি সূত্র বিবিসিকে বলেছে, নিষ্পত্তিতে কোনরকম অপরাধের স্বীকারোক্তি দেবেন না ট্রাম্প।
সূত্র : বিবিসি