‘অর্থহীন’ নির্বাচনে অংশ নেব না: এরশাদ
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে জাপা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা আমরা জানি। গত ইউনিয়ন নির্বাচনে সারা দেশে ১৪৫ জন মানুষ মারা গেছে। আমরা হত্যা, হানাহানি ও অস্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। জেলা পরিষদ নির্বাচনেও এর পুনরাবৃত্তি হতে পারে। তাই আমরা এ অর্থহীন নির্বাচনে অংশ নেব না।’
অনুষ্ঠানে বিকল্প ধারার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কমান্ডার শহিদুর রহমান জাপায় যোগ দেন। যোগদান অনুষ্ঠান হলেও এরশাদের বক্তৃতার বড় অংশ জুড়ে ছিল ইসি গঠন নিয়ে বিএনপির প্রস্তাব প্রসঙ্গ।
গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে ১৩ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন। তিনি সব দলের আলোচনার মাধ্যমে ইসি গঠনের দাবি জানান।
এ প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, ‘সংসদে বাইরে থাকা বিএনপির ইসি গঠন নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই। যারা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন তাদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে একটি বিধিসম্মত, বাস্তবসম্মত নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক। যারা সংসদের বাইরে আছে,তাদের কথা বলার কোনো অধিকার নাই।’
আগামী ২৮ ডিসেম্ব অনুষ্ঠিত হবে জেলা পরিষদ নির্বাচন। ১৯৮৬ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদ সরকার জেলা পরিষদ গঠন করেছিল। এর তিন দশক পর নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
এরশাদ জানান, জেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করলেও ২০১৯ সালে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে জাপা। কীভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে সেই প্রস্তাব শিগগির তুলে ধরবেন। আগামী ১ জানুয়ারি জাপার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সেখানে আমরা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাপার কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সুনীল শুভ রায়, ঢাকা মহানগর (উত্তর) জাপার সভাপতি এস এম ফয়সল চিশতী প্রমুখ।