>
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার সাইদ হাওলাদার (৩২) ও তার বন্ধু কুমিল্লার মুরাদনগর থানার রিয়াজ নাগরালী(৩২)। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলায় বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ যাত্রাবাড়ী থানাধীন ৫৬ নং উত্তর যাত্রাবাড়ীর কলাপট্টিতে ‘বাবার প্রাসাদ’ নামে একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী রওশন আরা ও গৃহকর্মী কল্পনা আক্তারের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন রওশন আরারা বড় ভাই মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক ইকবাল হোসেন গৃহকর্মীর ভাই সাইদ হাওলাদার ও তার বন্ধু রিয়াজের নামে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত ওই রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান লিখন জানান, বোনের সুবাদে আসামি সাইদ নিয়মিত ওই বাসায় যাতায়াত করতেন। সাবেক ওই পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে-মেয়েরো দেশের বাইরে থাকায় রওশন আরা ও তার গৃহকর্মী কল্পনা ছাড়া বাড়িতে আর কেউ থাকতেন না। ঘটনার দিন টাকা ও স্বর্ণ লুট করে আসামিরা প্রথমে রওশন আরাকে খুন করেন। কিন্তু ঘটনাটি সাইদের বোন গৃহকর্মী কল্পনা দেখে ফেলায় তাকেও খুন করেন।