ক্রাইমবার্তা রিপোট:র্বাচনের লক্ষ্যে নারায়নগঞ্জের মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ড. সেলিনা হায়াত আইভী। বুধবার(২৩ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় নগর ভবন প্রাঙ্গনে পদত্যাগ করে তিনি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। এ সময় তিনি বলেন, আমি নির্বাচন করার জন্য আইন মেনে ইতিমধ্যে আমার পদত্যাগ পত্র স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অচিরেই হয়তো এখানে কাউকে নিয়োগ দিতে পারে বলে আইভী জানান।
এ সময় শামীম ওসমানের সাথে গণভবনে গতকালের বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইভী বলেন, মঙ্গলবার রাতে ঢাকাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের বৈঠকে তিনি সবাইকে নৌকা প্রতীকে কাজ করতে বলেছেন। আমি আশা করি সবাই এখন নৌকা প্রতীকেই আছেন। তবে আমি যখন এখানে ব্রিফিং করছি তখনো আমি মেয়র সেহেতু এখানে নেতাকর্মী আসাটা বোধগম্য না।
তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যে যার মত কাজ করছে। আশা করছি অচিরেই সবাই ঐক্যবদ্ধ হবো। আমি বিগত দিনের কাজের মূল্যায়ন হিসেবে আমার সততা হিসেবে আবারও নারায়ণগঞ্জবাসীর সেবা করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জবাসীকে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন সেহেতু নারায়ণগঞ্জবাসীও সে প্রতীককে জয়ী করবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
এ সময় আইভী বলেন, জবাবদিহিতার মধ্যে গত ৫ বছরে আমি কাজ করেছি। আল্লাহকে হাজির নাজির রেখে আমি জনসেবা করেছি। আমি এক টাকাও দুর্নীতি করি নাই। সিটি করপোরেশনের অনেক উন্নয়ন হয়েছে জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। শতভাগ ট্যাক্স আদায় না হওয়াটা আমার ব্যর্থতা। ৬০ভাগ ট্যাক্স আদায় করা সম্ভব হয়েছে। আর আমি আমার সফলতা বলতে চাই না। আমি কী করেছে সেটা বিচার করবে জনগণ। গত ৫ বছরে ৬শ কোটি টাকার মত কাজ হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ৩শ কোটি টাকার মত সরকার ও বাকি টাকা বিদেশী সংস্থার অনুদানে হয়েছে। তবে এখনও অনেক কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে। আবার অনেক কাজ চলমান আছে। ৯ তলা বিশিষ্ট বহুতল নগর ভবন হচ্ছে। ২শ কোটি টাকা ব্যয়ে বাবুরাইলের খাল সৌন্দর্য্যর কাজ চলমান আছে।’
আচরণ বিধি লঙ্ঘনে বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইভী বলেন, ‘আমি কোন আচরণ বিধি লঙ্ঘন করি নাই। এমন হতো আমি প্রচারণায় সরকারী গাড়ি কিংবা সিটি করপোরেশনের নগর ভবন ব্যবহার করেছি তাহলে সেটা লঙ্ঘন হতো। আর এখনো তো লেভেল প্লেয়িংয়ের সময় আসেনি। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দের পর এ ব্যাপারে কথা হবে।
তিনি বলেন, ‘গত ৫ বছর ও এর আগে পৌরসভার ৮ বছর এ ১২ বছরে আমি এক মুহূর্তের জন্যও থেমে থাকি নাই। আমার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র, অনেক অপপ্রচারের পরেও কাজ করেছি জনগণের কল্যাণে ।
প্রসঙ্গত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৪ নভেম্বর, বাছাই ২৬ ও ২৭ নভেম্বর আর প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৪ ডিসেম্বর। সবশেষ ২২ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।