ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রিপোট:বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেছেন, মিয়ানমারের মুসলমানদের ওপর ইতিহাসের জঘণ্যতম গণহত্যা চালাচ্ছে সে দেশের সেনাবাহিনী। অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন সরকার এবং বিশ্ব মোড়লরাও রহস্যজনকভাবে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। অথচ অমুসলিম সংখ্যালগুদের ওপর সামান্যতম নির্যাতন হলে তারা ব্যাপকভাবে সরব হয়ে ওঠে। এহেন পরিস্থিতিতে মায়ানমারের মুসলিম নিষ্ঠুরতম পরিস্থিতির শিকার। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত ভয়াবহ গণহত্যা বন্ধ এবং আর্ন্তজাতিক তদন্ত কমিটি গঠন করে গণহত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করুন এবং মানবতার সেবা হিসেবে সীমান্তে নজরদারী শিথিল করে তাদেরকে সাময়িক আশ্রয় প্রদান করুন। তিনি আরো বলেন, প্রতিটি মুসলমান এক দেহের ন্যায়। সুতরাং মায়ানমারের মুসলমানদের সাহায্যে সাড়া দেয়া আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে যা করা দরকার বিশ্বের মুসলিমরা তাই করবে।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মায়ানমারে মুসলিম নিধন ও হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মহানগর সভাপতি মাওলানা এনামুল হক নূরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসার পরিচালনায় সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন যুগ্নমহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, অফিস ও প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাহবুবুল হক, পীর মাওলানা মুখলিসুর রহমান কাসেমী প্রমুখ।
বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সুরমা টাওয়ারের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্তি হয়।
-অন্যান্য বৈশ্বিক ইস্যুর ন্যায় রোহিঙ্গা ইস্যুতেও বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে হবে
আরাকানে মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপর ইতিহাসের জঘণ্যতম গণহত্যা ও নির্যাতন চলছে। আরাকানকে মুসলিম শূণ্য করতেই আন্তর্জাতিক চক্রান্ত অনুযায়ী এ বর্বর গণহত্যা। এগণহত্যা বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকেই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে হবে। কারণ যে কোন সংকটে রোহিঙ্গারা সবচেয়ে অধিক আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। তাই এ সমস্যার সবচেয়ে বেশী মোকাবেলা করতে হয় বাংলদেশকে। তাই বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ যেভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে একই ভাবে রোহিঙ্গা ইস্যুতেও বাংলাদেশকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। গতকাল রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেছেন, মিয়ানমারের মুসলমানদের ওপর ইতিহাসের জগণ্যতম গণহত্যা চালাচ্ছে সে দেশের সেনাবাহিনী। অং সাং সুচির নেতৃত্বাধীন সরকার এবং বিশ্ব মোড়লরাও রহস্যজনকভাবে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। অথচ অমুসলিম সংখ্যালগুদের ওপর সামান্যতম নির্যাতন হলে তারা সরব হয়ে ওঠে। সুতরাং এ পরিস্থিতিতে গণহত্যা বন্ধ এবং আর্ন্তজাতিক তদন্ত কমিটি গঠন করে গণহত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারের মুসলমানদের সাহায্যে সাড়া দেয়া আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে যা করা দরকার বিশ্বের মুসলিমরা তাই করবে। গতকাল বিকেলে মিয়ানমারে মুসলিম নিধন ও হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মহানগর সভাপতি মাওলানা এনামুল হক নূরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসার পরিচালনায় সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউলাহ আমীন, মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাহবুবুল হক, মাওলানা মুখলিসুর রহমান কাসেমী, হাফেজ শহীদুর রহমান প্রমুখ।
বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সুরমা টাওয়ারের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
শরীয়তপুর উলামা পরিষদ : মিয়ানমারে মুসলিম নিধন ও গণহত্যার প্রতিবাদে আজ সকালে শরীয়তপুর উলামা পরিষদের উদ্যোগে শরীতপুর শহরে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা শফি উল্লাহ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আবু বকর, মাওলানা সাব্বির আহমদ, মাওলানা খন্দকার শহিদুল ইসলাম, মাওলানা শওকত হোসাইন প্রমুখ।
ইশা ছাত্র আন্দোলন
জলবায়ু সংকটসহ বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে তেমনি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। কারণ বিশ্বের সর্বাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশেই আশ্রয় নিয়েছে। যার সংখ্যা তিন লাখ। এই সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ বিষয়টিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বিবেচনা না করে এটিকে জাতিসংঘ-ওআইসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দরবারে উপস্থাপন করে সমস্যা সমাধান করতে হবে।
১৯৭১ এ আমরা হত্যা, নির্যাতন ও জুলুমের শিকার হয়ে আমাদের প্রায় এক কোটি জনগণ পার্শবর্তী দেশে আশ্রয় নিয়েছিলো। আমরা নিগ্রহের বেদনা বুঝি। নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিম ভাই-বোনের পাশে যদি আমরা না দাঁড়াই তাহলে আল্লাহ ক্ষুব্ধ হবেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী পারেন, বৈশ্বিক নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করতে। যেমনি করেছিলেন ১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আর এখন তিনি বিশ্ব মুসলমান ও বিশ্ব মানবতার হৃদয়ে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আসীন হবেন।
গতকাল জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইট থেকে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর উদ্যোগে মিয়ানমারে মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দীন এ কথাগুলো বলেন।
বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জি. এম. রুহুল আমীন, সেক্রেটারি জেনারেল শেখ ফজলুল করীম মারুফ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মু. হাছিবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় তথ্য-গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক আ হ ম আলাউদ্দীন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ছাত্র জমিয়ত ঢাকা মহানগরী
ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ এর নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মিয়ানমারের মুসলামনাদের উপর ইতিহাসের যে বর্বরোচিত পৈচাশিক নির্যাতন চলছে তা ইতিহাসের সকল কালো অধ্যায়কে হার মানিয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নিন্দা বিক্ষোভ প্রকাশ করা হলেও আমাদের সরকার এ বিষয়ে এখনও নিরব, যা বিস্ময়কর। নেতৃবৃন্দ মায়ানমারের মজলুম মুসলমানদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
গতকাল বিকালে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম নির্যাতন বন্ধের দাবিতে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগীর উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর সভাপতি হাফেজ বুরহান উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তৃতা করেন, কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতি নাসির উদ্দীন খান, মাওলানা তোফায়েল গাজালি, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ ওমর ফারুক, মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, আহমাদুল হক উমামা, আজিজুর রহমান শাহীন, শাহিদ হাতীমি প্রমূখ।
হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর
আজ শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে মিয়ানমারে মুসলিম নিধনযজ্ঞ ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর নৃশংস নির্যাতনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীর আহবানে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল সফল করার আহবান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর নেতৃবৃন্দ। গতকাল এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মিয়ানমার সরকার সেনাবাহিনী লেলিয়ে দিয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা করছে। সভ্যতার যুগে তাদের বর্বরতা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এর বিরুদ্ধে বিশ্বমুসলিমকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
বিবৃতিদাতাগণ হলেন- হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী, মহানগর কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর রহ., মাওলানা আবদুর রকিব এডভোকেট, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মুফতি ফয়জুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মুফতি তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা যোবায়ের আহমদ, মাওলানা জসিমউদ্দিন, মাওলানা আবুল কাশেম, অধ্যাপক মাওলানা এহতেশাম সারওয়ার, অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল করীম, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াছল, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মুফতি ইমাদুদ্দীন, মাওলানা মুহিউদ্দীন ইকরাম, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, মাওলানা শফিকউদ্দিন, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আলতাফ হোসাইন প্রমুখ।
ইসলামী সমাজ
ইসলামী সমাজ এর আমির হযরত সৈয়দ হুমায়ুন কবীর বলেন, মিয়ানমার অং সাং সূচি ও তার সরকারের নির্দেশে সে দেশের সেনাবাহিনী কর্তৃক রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর বর্বোচিত পৈশাচিক হামলা ও মানবতাবিরোধী চরম অপরাধের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ এবং বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহের ক্ষমতাসীনরা কার্যকরী পদক্ষেপ কেন গ্রহণ করছেন না? জবাব দিতে হবে। তিনি বলেন মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রসমূহের সরকারের যারা আছেন তাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে অতি দ্রুত ও এব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
তাহফিজে হারামাইন
তাহফিজে হারামাইন পরিষদ বাংলাদেশ-এর সভাপতি মাওলানা সাদেক আহমদ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘মিয়ানমার মানে আজ মুসলমানদের নিশ্চিত মৃত্যুনগরী’। শান্তির জন্য নোবেল বিজয়ী অং সাং সুচির দেশে আজ মুসলমানদের নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে। সেখানে মুসলমানদের জন্য বিরাজ করছে মৃতপুরী। তিনি এ গণহত্যার বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান।
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান, নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আব্দুর রকিব অ্যাডভোকেট যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাও. শওকত আমীন পীর সাহেব বি-বাড়ীয়া এক বিবৃতিতে আরাকানে রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রতিবাদে আজও জুম্মাবাদ বাইতুল মোকাররমে হেফাজতে ইসলামের আহুত বিক্ষোভ কর্মসূচিকে সফর করার আহ্বান জানিয়েছেন।
খুলনায় প্রতিবাদ সমাবেশ
খুলনা ব্যুরো জানান, খুলনায় ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দ বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় না দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। শরণার্থীদের ভরণপোষণে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থ না থাকলে প্রয়োজনে মুসলমানরা চাঁদা তুলে হলেও তাদের পুনর্বাসনের এগিয়ে আসবে। গতকাল বিকেলে মিয়ানমারে মুসলিম নির্যাতন ও গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধের দাবিতে সংগঠনের খুলনা জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে নগরীতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেছেন। নগর ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা শাখার সেক্রেটারী শেখ হাসান ওবায়দুল করিম।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শেখ নাসির উদ্দিন, মুহাঃ মুসা লস্কর, মুফতী আমানুল্লাহ, মাওলানা ইমরান হুসাইন, গোলাম মোস্তফা সজীব মোল্যা, ইঞ্জিনিয়ার এজাজ মানসুর, মুহাঃ ইমরান হুসাইন মিয়া, তারিকুল ইসলাম কাবির, আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গতকাল কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১১টায় পৌর শহরের টেংকের পাড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। মিছিলে হাজার হাজার মাদ্রাসা ছাত্র ও ধর্মপ্রান মুসলমানগনের অংশগ্রহণ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মাওলানা আশেকে এলাহী’র সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দারুল আহকাম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সাজেদুর রহমান, জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিাল মাওলানা মোবারক উল্লাহ, ভাদুঘর সিরাজিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মনিরুজ্জামান সিরাজী, মাওলানা নোমান হাবিবী, মুফতি আব্দুর রহিম সিরাজী প্রমুখ।
রাবিতে প্রতীকী প্রতিবাদ
রাবি রিপোর্টার জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখেছি, কতটা নির্মমভাবে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, মা বোনদের ধর্ষণ করা হচ্ছে ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। আমরা দেখেছি, সেখানে কীভাবে মানবতা লঙ্ঘন হচ্ছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো আজ কোথায়? এসময় বক্তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুচির বিতর্কিত ভূমিকার কথা সমালোচনা করে তার নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান।
দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল আজিজের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজ, একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আলতাফ, অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইমরুল শেখ ইমু ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান প্রমুখ।
নেত্রকোনায় মানববন্ধন
নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা জানান, ইত্তেফাকুল উলামা নেত্রকোনা জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নেত্রকোনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনের সড়কে বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। মানববন্ধন চলাকালে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর হামলা, অত্যাচার নির্যাতন, বাড়ীঘরে অগ্নিসংযোগ ও গণহত্যা বন্ধ এবং মানবিক কারণে রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে আশ্রয় দেয়ার দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন নেত্রকোনা জেলা ইত্তেফাকুল উলামার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, সহ সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল বাতেন, মাওলানা মোঃ ইউনুছ প্রমূখ।
ফেনীতে মানববন্ধন
ফেনী জেলা সংবাদদাতা জানান, গতকাল সকালে শহীদ মিনার এলাকায় মানববন্ধন করেছে ফেনীর সচেতন যুব সমাজ। মানববন্ধনে বক্তারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনসহ বিশ্বের মুসলিম দেশগুলিকে মিয়ানমারে মুসলিমদের রক্ষায় এগিয়ে আসার আহবান জানান। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ষ্টারলাইন গ্রুপের পরিচালক মঈন উদ্দিন, সাংবাদিক শুকদেবনাথ তপন ও ওমর ফারুক, সংগঠনের আহ্বায়ক আরাফাত খান, এখলাস উদ্দীন বাবলু, শরীফুল হাসান অপু, আরিফুল হাসান রবিন, মারজান হায়দার মিরাজ, নাসিম আনোয়ার প্রমুখ।
বিশ্বনাথে তালামীযের বিক্ষোভ
বিশ্বনাথ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, সিলেটের বিশ্বনাথে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন বাংলাদের আন্জুমানে তালামীযে ইসলামিয়া দক্ষিণ উপজেলা শাখা। গতকাল উপজেলা সদরের আলিয়া মাদ্রাসা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে বাসিয়া সেতুর ওপরে এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। উপজেলা তালামীযের সভাপতি মুহাম্মদ আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজ ময়নুল ইসলাম এবং হেলাল আহমদের যৌথ পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আল-ইসলাহ্’র মহাসচিব একেএম মনোওর আলী। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আখতার আলী, আকমল হোসেন সাকুর, আলী আনহার শাহান, হাফিজ আবদাল হোসেন, মাওলানা মুফতি আব্দুল মুমিমন ও মাওলানা আজিজুর রহমান, মাওলানা মঞ্জুর আহমদ প্রমূখ।
বেগমগঞ্জে বিক্ষোভ
বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে সমন্বয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল দুপুরে নোয়াখালী, ঢাকা-কুমিল্লা প্রধান সড়ক সম্মুখে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা অংশ নেয়।
এদিকে বিকালে খেলাফত মজলিস নোয়াখালী জেলা শাখার উদ্যোগে চৌমুহনী পাবলিক মিলনায়তনে ওলামা মাশায়েখ ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা বন্ধের দাবীতে খেলাফত মজলিস জেলা সভাপতি মাওলানা হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল চৌমুহনী শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
আরাকানে নির্যাতন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং নির্যাতন বন্ধের দাবিতে আজ শুক্রবার, বাদ জুমা বেলা ২টা হতে উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা হতে-কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত বিশাল মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত মানববন্ধনে দলমত নির্বিশেষে সকল পেশা ও শ্রেণির লোকদেরকে শরিক হয়ে মজলুম ও নিপিড়িত মিয়ানমারের মুসলিম জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।