ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রিপোট:আমরা আমাদের নারী পুলিশ সদস্যদের নিয়ে গর্ববোধ করি। কারণ আঞ্চলিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশেই প্রথম নারী পুলিশ নিয়োগ দেয়।
১৯৭৪ সালে প্রথম নারী পুলিশ সদস্য বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
তবে এই সংখ্যা ১০ শতাংশের কম। বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় ঘর ছেড়ে বাইরে গিয়ে নারীদের জন্য চাকরি করা কঠিন। তবে এ প্রতিবন্ধকতা দূর করে প্রশংসার সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে আমাদের নারী পুলিশেরা।
বলা বাহুল্য, মুসলিম সংখ্যাঘরিষ্ট দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নারী পুলিশ সদস্যরাই প্রথম জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে কাজ করছে। তবে ভাবার বিষয় তাদের কাজের পরিবেশের নিরাপত্তা কতটা নিশ্চিত? তারা কোনো প্রকার নির্যাতনের শিকার হচ্ছে না তো! তারা ভালো আছে তো? কর্মক্ষেত্রে তারা কোনো প্রকার অসস্তিতে নেই তো?
অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে বাংলাদেশের নারী পুলিশের কর্মক্ষেত্রে ১০ ভাগ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ ও ‘কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনেশিয়েটিভ’ এর যৌথ সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে আসে। সমীক্ষায় বলা হয় তারা (নারী পুলিশ) অন্য মানুষের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত অথচ তাদেরই কোনো নিরাপত্তা নেই। তবে তারা কি করে অন্যদের নিরাপত্তা দেবে?
পুলিশের চাকরি যে কোনো দেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং ও কঠিন আর বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য তা আরো কঠিন। পুলিশের মধ্যে নারীদের কর্মপরিবেশ বজায় রাখতে কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নিতে হবে। দায়িত্ব সহকারে নারী পুলিশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যৌন হয়রানি বন্ধ করে জিরো টলারেন্সে আনতে হবে। তাতেই গৌরব থাকবে পুলিশ বাহিনীর
ডেইলি স্টার অবলম্বনে