গাজীপুর সংবাদদাতা,৩০নবেম্বরঃ টঙ্গীতে ট্যাম্পকো ফয়েলস কারখানায় বিষ্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডে হতাহতের ঘটনায় টঙ্গী থানায় দায়েরকৃত পৃথক দুটি মামলায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে ৬ আসামি বুধবার গাজীপুর আদালতে আত্মসমর্পন করেন। শুনানী শেষে আদালত কারখানার মালিক সৈয়দ মকবুল হোসেনকে অস্থায়ী জামিন প্রদান করেন এবং অপর ৫ আসামির জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়।
গাজীপুর আদালতের পরিদর্শন মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে আসামিরা দুপুরে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ একেএম এনামুল হকের আদালতে আত্ম সমর্পণ করেন। শুনানী শেষে আদালত ট্যাম্পাকো ফয়েলস কারখানার মালিক সৈয়দ মকবুল হোসেন কে ৪ জানুয়ারি ২০১৭ পর্যন্ত অস্থায়ী জামিন প্রদান করেন। অপর ৫ আসামির জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। আসামি পক্ষে মামলার শুনানী করেন মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান।
—-
গাজীপুরের টঙ্গীর টা¤পাকো ফয়েলস কারখানায় ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়াম্যান বিএনপির সাবেক সাংসদ সৈয়দ মকবুল হোসেনসহ ছয়জনের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে তাদেরকে নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে বিচারিক আদালতে আত্মসমপর্ণ করতে হবে। তবে মকবুল হোসেনের স্ত্রী সাজেদা পারভীন হোসেন এবং মেয়ে সৈয়দা আবিদা হোসেনকে আগাম জামিন দিয়েছেন আদালত।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে করা জামিন আবেদনের ওপর গত সোম ও বুধবার দুই দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার শুনানি শেষে বুধবার আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেন। আদালতে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আতাউল গণি।
টা¤পাকোর চেয়ারম্যান সৈয়দ মকবুল হোসেন, তার স্ত্রী সাজেদা পারভীন হোসেন ও মেয়ে সৈয়দা আবিদা হোসেন ছাড়া পাঁচ আসামি হলেন- কো¤পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ তানভীর আহমেদ, জেনারেল ম্যানেজার শফিকুর রহমান, মনির হোসেন (ম্যানেজার এডমিন), আলমগীর হোসেন (ডিএমডি) ও আবু হানিফ(ম্যানেজার)।
গত ১০ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের টঙ্গীর বিসিক শিল্পনগরী এলাকার ট্যা¤পাকো কারখানায় ভয়াবহ
বিস্ফোরণ ও অগ্নিকান্ড হয়। এ ঘটনায় ৩৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় টঙ্গী
থানায় হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দুটি মামলা করা হয়। অগ্নিকান্ডের পর থেকে পলাতক ছিলেন মকবুল হোসেন।