ক্রাইমবার্তা বিনোদন ডেস্ক:নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধ করতে নারীদেরই অবস্থান নিতে হবে বলে মনে করেন বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ। বৈবাহিক ধর্ষণ এবং অন্যান্য সহিংসতার বিষয়ে নারীদের রুখে দাঁড়ানোর জন্য বলেছেন তিনি। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানা গেল, সম্প্রতি জাতিসংঘের আয়োজনে ‘উই ইউনিট’ শিরোনামের একটি সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন ক্যাটরিনা।
সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং বিভিন্ন বিষয় মাথায় নিয়ে অনেক সময় শিক্ষিত নারীরাও নীরবে নির্যাতন সহ্য করেন। এ বিষয়ে ক্যাটরিনা বলেন, ‘আমি অনেক শিক্ষিত নারীকে জানি, যাঁরা নির্যাতনের মুখে নীরব হয়ে থাকেন, সামাজিক রীতিনীতি আর কিছু বিষয় চিন্তা করে। আর এমনটাই তো হয়, কারণ আমাদের সমাজের বড় একটা অংশ বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে না।’
এ বিষয়ে নারীদের রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে এই ৩৩ বছরের অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি নারীদের বলব, তাঁদের এই অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া উচিত। নিজেকে দুর্বল বা ছোট মনে করার কিছুই নেই, কারণ কল্পনাতেও নিজেদের দুর্বলতম লৈঙ্গিক পরিচয়ের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত নয়।’
ভারতে নারী নির্যাতনের ভয়াবহ পরিসংখ্যানের বিবরণ দিতে গিয়ে ক্যাটরিনা হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ভারত এরই মধ্যে রাষ্ট্রীয় শীর্ষ ক্ষমতায় নারীকে অধিষ্ঠিত করেছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখনো সম্ভব হয়নি। তারপরও এমন পরিস্থিতি হতাশা উদ্রেক করে। ‘জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরো জানাচ্ছে যে ২০০১ সালে এক লাখ ৪৩ হাজার ৭৯৫ নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ হয়েছে। ২০০৫ সালে হয়েছে তিন লাখ ২৭ হাজার ৩৯৪ জনের বিরুদ্ধে। এর মানে ১০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে সহিংসতা। প্রতিদিনই নারীর বিরুদ্ধে ভয়াবহ আর চমকে দেওয়া সব নির্যাতনের খবর পাওয়া যায়। আর প্রতিদিন কত খবর যে অপ্রকাশিত থেকে যায়, তা তো কল্পনা করেও কুলোয় না’, বলেন তিনি।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার কর্তৃত্ব এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির পেছনে অনেকটাই দায়ী বলে মনে করেন ক্যাটরিনা। তবে এর সঙ্গে, নির্যাতনের মুখে নরবতা পালনকেও দায়ী করেন তিনি। এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য নারীরা সক্রিয়ভাবে অবস্থান নেবেন বলে তিনি আশাবাদ জানান।