ক্রাইমবার্তা রিপোট:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধান প্রসঙ্গে বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যাটি রাজনৈতিক। মিলিটারি পন্থায় এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিখাইল হেমনিদ উইনটারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত্কালে এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের আরো বলেন, সাক্ষাত্কালে রোহিঙ্গা ইস্যু মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার ভূয়শী প্রশংসা করেন ডেনিশ রাষ্ট্রদূত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি রিফ্যুজি সমস্যা সম্পর্কে ভালভাবেই অবগত। কেননা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাঁকেও দীর্ঘ ছয়টি বছর রিফ্যুজি হিসেবেই প্রবাসে কাটাতে হয়। প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ৩০ জুলাই ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে জার্মানিতে যান শেখ হাসিনা। এরপর ১৫ আগস্ট ঢাকার ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। পাঁচ বছর নয় মাস পর বিদেশে থাকার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।
রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির উল্লেখ করে বলেন, এটা তৃতীয় কোন পক্ষের সাহায্য ছাড়া মিয়ানমারকে স্থানীয় পর্যায়েই সমাধান করতে হবে। তিনি বলেন, শান্তিচুক্তির ফলে ১৯৯৭ সালে সে সময় বিদ্রোহীরা অস্ত্র সমর্পন করেছিল। প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামে তাঁর সরকার গৃহিত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের জনগণ এখন অন্যান্য সকল সুবিধার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার সুযোগ এবং ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স নীতি পূণর্ব্যক্ত করেন।