ক্রাইমবার্তা রিপোট:পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥ পাইকগাছা উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. মোঃ আব্দুল মজিদ (এমবিবিএস), বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু, আহবায়ক কমিটির সদস্য ও চেয়ারম্যান এস,এম,এনামুল হক, শেখ আনারুল ইসলাম, বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক আলাউদ্দীন রাজা, কাউন্সিলর সেলিম নেওয়াজ, আঃ মজিদ গোলদার, তুষার কান্তি মন্ডল, আব্দুস জব্বার, আছাদুজ্জামান ময়না, শেখ হাবিব, এম, এ, আজাদ আহম্মেদ, মোঃ মতলেব গাজী, শেখ সুমন আহম্মেদ, সাজ্জাদ আহম্মদ, মোঃ মনিরুল ইসলাম মন্টু, শেখ ইব্রাহিম, মশিউর রহমান মিলন, ওলিয়ার রহমান, শেখ রুহুল কুদ্দুস, ইলিয়াস, মোঃ হাবিবুর রহমান, বাবুল গাজী, আকিজ উদ্দীণ, ইয়াউর রহমান, মোঃ এরশাদ আলী, মোঃ নূর আলী গোলদার, কেরামত আলী, রব্বানী গাজী, মোঃ ফিরোজ, নাজমুল ইসলাম, মোঃ ফয়সাল।
অদম্য সাহসীকতার নাম- জহুরা বেগম
জি,এ, গফুর, পাইকগাছা ॥
অদম্য সাহসীকতার নাম জহুরা বেগম। তিনি ১৯৬৭ সালে ৬ ডিসেম্বর উপজেলার গদাইপুরের ঘোষাল গ্রামের নায়েব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ধীরে ধীরে বড় হওয়ার পর জহুরা বেগমকে তালা উপজেলার জেটুয়া গ্রামের নেহাল উদ্দীন শেখের পুত্র রউফ শেখের সহিত বিবাহ দেন। ভাগ্যের পরিহাসে তার স্বামীর ঘরে পর পর তিন কন্যা সন্তান জন্ম হয়। এর ফলে তার কোন পুত্র সন্তান না হওয়ায় স্বামী তাকে তালাক দিলে অসহায় সন্তানদের নিয়ে তার পিত্রালয়ে ঘোষাল গ্রামে চলে আসে। স্বামী পরিত্যাক্তা জহুরার তিন কন্যা সন্তানকে লালন পালনের জন্য অসহায় হয়ে পড়ে। কিন্তু হাল না ছেড়ে মনে অদম্য সাহস নিয়ে কন্যা সন্তানদের মানুষের মত মানুষ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এক পর্যায়ে তিনি মানুষের দুয়ারে দুয়ারে কাজ করে এবং সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতায় তিন কন্যাকে স্কুলে ভর্তি করে। এরপর সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি অন্য কোথাও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হয়ে ছাগল পালন থেকে শুরু করে শাড়ী বিক্রয়ের পথ বেছে নেয়। ধীরে ধীরে তার কন্যারা বিদ্যালয়ে ভাল ফলাফল করতে থাকলে উপজেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিণœ সমাজসেবা মুলক প্রতিষ্টান তাদের লেখাপড়ার সহযোগীতায় এগিয়ে আসেন। তার অদম্য মনবলের কারণে পিছু না হেটে সামনের দিকে পথ চলতে কোন আট বাঁধা মানেনি। ফলে তিন কন্যার প্রথম কন্যা রাজিয়া ইয়াসমিন রুপা, পাইকগাছা ফসিয়ার রহমান ডিগ্রী কলেজ থেকে বি,এ পাশ করে সুন্দরবন কলেজে আইন বিভাগে পড়াশুনা করছে। মেঝ কন্যা হাফিজা ইয়াসমিন ময়না কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিভাগে ¯œাতক ডিগ্রি নিয়ে কপিলমুনি ডিগ্রি কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। বর্তমানে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হিসাবে কর্মরত আছেন। ছোট কন্যা সুমাইয়া ইয়াসমিন মনুকে খুলনা মেডিকেল কলেজে ডাক্তারী পড়াশুনা করান। এখান থেকে তিনি এম,বি,বি,এস পাশ করে বর্তমানে খুলনার আদ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত আছেন। গর্বিত মা জহুরা বেগম প্রমান করেছেন পুত্র সন্তান নয় মানুষের মত মানুষ করতে পারলে কন্যা সন্তানই যথেষ্ট। বর্তমানে শুধুমাত্র ঘোষাল গ্রামেই নয় পাইকগাছা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ তাকে নিয়ে গর্বিত। তার অদম্য সাহসিকতা ও কন্যা সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য গত ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া দিবসে পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে তাকে সাহসিকতায় জয়ীতা পুরস্কারে ভুষিত করেন। জহুরার এ সাফল্যের জন্য গর্বিত মা হিসাবে সরকারী উচ্চ মহলের পক্ষ থেকে তাকে সম্মাননা প্রদানের জন্য পাইগাছার সর্বস্তরের জনগণ কামনা করছেন।
পাইকগাছায় বিএনপির বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত
পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, উপজেলা ও পৌর শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে পৌর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ডাঃ মোঃ আব্দুল মজিদ (এমবিবিএস)। বিশেষ অতিথি ছিলেন, চেয়ারম্যান এস, এম, এনামুল হক, শেখ আনারুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন, অমরেন্দ্রনাথ মন্ডল, কাউন্সিলর এস,এম, ইমদাদুল হক, সেলিম নেওয়াজ, আঃ মজিদ গোলদার, তুষার কান্তি মন্ডল, সরদার ফারুক আহমেদ, আব্দুস জব্বার, আছাদুজ্জামান ময়না, শেখ হাবিব, এম, এ, আজাদ আহম্মেদ, মোঃ মতলেব গাজী, শেখ সুমন আহম্মেদ, সাজ্জাদ আহম্মদ, মশিউর রহমান মিলন, ওলিয়ার রহমান, শেখ রুহুল কুদ্দুস, জি,এম, সাবেরী, ইলিয়াস, মোঃ হাবিবুর রহমান, ইয়াউর রহমান, মোঃ এরশাদ আলী, সাইফুল ইসলাম, মোঃ নূর আলী গোলদার, কেরামত আলী, রব্বানী গাজী, মোঃ ফিরোজ, নাজমুল ইসলাম, মোঃ ফয়সাল, মুর্শিদ, ফিরোজ, আবুল গাজী, শেখ বাদশা প্রমুখ।