গত মঙ্গলবার ইইউয়ের সদর দপ্তরে ইইউ-বাংলাদেশ সুশাসন ও মানবাধিকারবিষয়ক সাব গ্রুপের দ্বিবার্ষিক যৌথ সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।
ইইউয়ের পক্ষ থেকে এমন সময় এ আহ্বান জানানো হলো, যখন নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
সভায় ইইউ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুম, মৃত্যুদণ্ড, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
ইইউ’র প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইইউ বাংলাদেশের সংখ্যালঘু, শিশুশ্রম ও গৃহ নির্যাতনের বিষয়টিও তুলে ধরে সভায়। মিয়ানমারে সহিংসতায় উদ্বাস্তু হয়ে পড়া মানুষের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সহমর্মিতার বিষয়টির বিষয়ও উল্লেখ করে ইইউ। এসব নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে না দিয়ে তাদের সহায়তা এবং সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয় বাংলাদেশের প্রতি। রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে দেশে ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করা এবং এর মাধ্যমে এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।
শিশু অধিকার, প্রতিবন্ধীদের অধিকার সুরক্ষা এবং নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য রোধ করার পাশাপাশি নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সমুন্নত রাখারও আহ্বান জানায় ইইউ।
শ্রমিক সংগঠন এবং শ্রমিকনেতাদের বিরুদ্ধে সহিংস আচরণ এবং হেনস্তার বিষয়েও ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় ইইউ।
সভায় ইইউয়ের দলটির নেতৃত্ব দেন ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের ডিভিশনাল রিজিওনাল সার্ভিসের প্রধান ভেরোনিকা কডি। বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে ছিলেন আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক।