ক্রাইমবার্তা রিপোট:ঢাকার আশকোনার একটি তিন তলা ভবনের ‘জঙ্গি’ আস্তানায় অবস্থান করা এক নারী গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন।
বোরকা পরা ওই নারী একটি শিশুসহ ভবনের সামনে এসে গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটান। পুলিশ শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় বের করে আনতে সক্ষম হয়েছে। তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
ঘটনাস্থল থেকে বিবিসির সংবাদদাতা মীর সাব্বির জানান, গ্রেনেডে আহত নারী ভবনটির সামনে পড়ে আছেন বলে পুলিশের এক কর্মকর্তা তাকে জানিয়েছেন।
ভেতরে থাকা ‘জঙ্গিরা’ আর যেন কোনো আক্রমণ চালাতে না পারে সেজন্য তাদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
এর আগে পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ভেতরে থাকা ‘জঙ্গিদের’ কাছে বিস্ফোরক ও গুলি রয়েছে।
এর আগে দুই নারীর আত্মসমর্পণ করার সংবাদ দিয়েছিলো পুলিশ। তাদের সাথে দুটি শিশু ছিলো।
ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে দুজন আত্মসমর্পণ করেছে তাদের একজন নিহত মেজর (অব:) জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী জেবুন্নাহার, আরেকজন ‘জঙ্গি’ মুসার স্ত্রী।
তিনি বলেন, আত্মসমর্পণের সময় তারা একটি পিস্তল পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
মেজর (অব:) জাহিদ ঢাকার রূপনগরে পুলিশী অভিযানে নিহত হয়েছিলেন।
ওদিকে আত্মসমর্পণের পর দুই নারী ও শিশুদের তাদের ঘটনাস্থল থেকে মাইক্রোবাসে করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
ওদিকে পুলিশ কর্মকর্তারা ধারণা করছে,ন তিনতলা ভবনটির একটি ফ্লাটে নব্য জেএমবির বড় পর্যায়ের এক নেতাও রয়েছেন।
বাড়িটির পাশের বাড়ির অধিবাসী নুর সোবহান রাজীব বিবিসিকে জানান, তিনতলার বাড়ির নিচতলায় কয়েক মাস আগে এই ভাড়াটিয়ারা এসেছিলেন।
তিনি জানান, মূলত কয়েকজন মহিলাই থাকতো সেখানে। মাঝে মধ্যে অন্যদের আসা যাওয়া করতে দেখা যেতো।
বাড়ির মালিক মধ্যপ্রাচ্যপ্রবাসী।
সূত্র : বিবিসি