ক্রাইমবার্তা রিপোট: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফ মল্লিকের (৪২) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার চর মল্লিকপুর গ্রামের কুটি মল্লিকের ছেলে।
গ্রাম্য কোন্দলের কারণে তিনি লোহাগড়া শহরের মদিনা পাড়ায় শ্বশুর ফরিদ শেখের বাড়িতে বসবাস করতেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে লোহাগড়ার মদিনা পাড়ার সিরাজুল ইসলাম সিরুর নির্মাণাধীন বাড়ির একটি ঘরে উবু হয়ে পড়ে থাকা লাশ দেখে পুলিশ ও পরিবারকে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। লাশের মুখভর্তি বালি, হাত-পা ভাঙা, বুকে এবং শরীরের কয়েকটি স্থানে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর চিহ্ন রয়েছে।
নিহতের স্ত্রী সোহেলী বেগম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর স্বামী বাসা থেকে বের হন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তা রিসিভ করেনি কেউ। আজ শুক্রবার ভোরে এলাকাবাসীর মাধ্যমে তিনি আশরাফের মৃত্যূর খবর পান। তিনি তাঁর স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেন এবং তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
নিহত আশরাফের বড় ভাই শরাফত মল্লিক জানান, গ্রাম্য কোন্দলের মামলা আর পুলিশের হয়রানির কারণে আজই আশরাফের ঢাকায় চলে যাওয়ার কথা ছিল। আসামি থাকায় বৃহস্পতিবার রাতে তাকে লোহাগড়া থানার দুইজন পুলিশ ধাওয়া করে। এরপর আর আশরাফের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, “গ্রাম্য প্রতিপক্ষের লোকজন এর আগে আমার চাচাতে ভাই মোহাম্মদ মল্লিককে খুন করেছে, এবার খুন করল আপন ভাইকে। ”
লোহাগড়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম পুলিশে ধাওয়া করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “আশরাফ একাধিক মামলার আসামি হলেও পুলিশের ধাওয়া করার বিষয়টি বানোয়াট। তাঁর শরীরেও আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই বলে দাবি করে এই কর্মকর্তা বলেন, “লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যু রহস্য উদঘাটন সহজ হবে। “