ক্রাইমবার্তা রিপোট:: সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ওমর ফারুক তালুকদার বলির পাঠা হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান।
ওমর ফারুক তালুকদারের সাজা প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ৭০ লাখ টাকা নিয়ে ফারুক গাড়িসহ ধরে পড়েন। অথচ গাড়িটি কোথায় যাচ্ছিল সেটা বের না করেই তাকে সাজা দেওয়া হলো। অপকর্ম ও দুর্নীতি করছে একজন আর আরেক জন সেই কারণে বলির পাঠা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
‘শহীদ জিয়ার সন্তান আরাফাত রহমান কোকোর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে এ সভায় তিনি বলেন, দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আর এ জন্য যোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন এবং সার্চ কমিটি দরকার। নিরপেক্ষ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবে বলেও সরকারের প্রতি হুঁশুয়ারি উচ্চারণ করেন বিএনপির এ নেতা।
এসময় তিনি নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ১৩ দফা প্রস্তাব মেনে নেওয়ান জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি আব্বান জানান।
ক্ষমতায় না থাকলে জীবন বাঁচবে না- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, এ কথার মধ্যে দিয়ে ওবায়দুর কাদের স্বীকার করেছেন, তারা অপকর্ম ও দুর্নীতি করেছেন। তাদের সেই অনুভূতি জনগণের মধ্যে প্রচার করছেন। তবে আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। সুতরাং বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগের মত আমরা কোন নাম পরিবর্তন করবো না।
নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপি রাষ্ট্রপতিকে নাম দিয়েছেন- ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এ কথা মিথ্যা। আর যদি সত্যেও হয় সেটা ওবায়দুল কাদেরের জানার কথা নয়। তাদের ‘আওয়ামী লীগ’ মধ্যে ভীতি ও অস্থিরতা কাজ করছে, সেই কারণে তারা এধরনের কথা বলছেন।
২০১৫ সালে ২৪ জানুয়ারি আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে তার মা খালেদা জিয়াকে সহানুভূতি জানাতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি কোন জায়গায় গিলে অনেক আগ থেকেই সেখানে তার জন্য নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ বিভিন্ন সংস্থার বাহিনীরা অবস্থান নেন। অথচ সেই দিন এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া আমরা টেলিভিশনে দেখেছি, প্রধানমন্ত্রীকে তোফায়েল আহমেদ বলছেন, নেত্রী চলুন। আমরা যে কাজে এসেছিলাম সেই কাজ হয়ে গিয়েছে। অথ্যাৎ ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির ভিতের যাওয়ার কোন ইচ্ছাই ছিল না। সহানুভুতির নাটক করে সেই দিন রাতেই বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দায়ের করা হয়।
তিনি বলেন, বর্তমান দুর্নীতি ও লুট করে শেয়ার বাজার শেষ করেছে। আবারও শেয়ার বাজার লুট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।