ক্রাইমবার্তা রিপোট:নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ছয় সদস্যের যে সার্চ কমিটি গঠন করে দিয়েছেন, তাতে চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এর আগে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সার্চ কমিটিরও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
গতবারের মতো এবারও সার্চ কমিটিতে হাই কোর্ট বিভাগের একজন বিচারক থাকছেন। এবার এই দায়িত্ব পেলেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
গতবারের মতোই সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান ও কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) পদধারী ব্যক্তিরা থাকছেন এই কমিটিতে। তারা হলেন পিএসসির এবারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক এবং সিএজি মাসুদ আহমেদ।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি শিরীণ আখতারকে সার্চ কমিটিতে নেয়া হয়েছে।
আপিল বিভাগের বিচারপতি মাহমুদ হোসেনের সাথে গতবার সার্চ কমিটিতে ছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান, পিএসপির তৎকালীন চেয়ারম্যান এ টি আহমেদুল হক চৌধুরী ও তৎকালীন সিএজি আতাউল হাকিম।
তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান চারজনের সার্চ কমিটি গঠন করেছিলেন। এবার সদস্য সংখ্যা দুজন বাড়িয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে এতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন আবদুল হামিদ।
সকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠনের বিষয়ে চিঠি পাওয়ার পর সার-সংক্ষেপ তৈরি করে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সেখান থেকে ফাইল ফেরত আসার পর সন্ধ্যায় ছয় সদস্যের সার্চ বা অনুসন্ধান কমিটির প্রজ্ঞাপন জারি হয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে। নবগঠিত সার্চ কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে এই দফতর।
প্রজ্ঞাপন জারির পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবদুল ওয়াদুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে রাষ্ট্রপতির সংলাপের পরিপ্রেক্ষিতে ইসি গঠনের লক্ষ্যে এই সার্চ কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এই সার্চ কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।’