ক্রাইমবার্তা রিপোট: ২০১৬ সালে মাদকের প্রভাবে নিহত ৪৫ ও মাদক সংক্রান্ত সহিংস ঘটনায় ৯২ জন আহত হয়েছে। দেশে মাদক সংক্রান্ত সহিংসতায় আহত নিহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের অন্যতম মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা। দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলছে মাদকের প্রভাবে হতাহতের ঘটনা। গত বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মাদক সংক্রান্ত সহিংসতায় ৪৫ জন নিহত ও ৯২ জন আহত হয়েছে। মাদক সেবন, নেশার টাকা না পেয়ে পরিবারের লোকজনদের হত্যা, মাদকের ভাট বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব প্রভৃতি বিষয় নিয়ে এ সব আহত নিহতের ঘটনাগুলো ঘটেছে। তরুণ বয়সীরাই মাদক সহিংসতায় বেশী জড়িয়ে যাচ্ছে।
সংস্থার চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সিগমা হুদা বলেছেন, মাদকের ভয়াল থাবায় আক্রান্ত হাজার হাজার তরুণ বিপথগামী হয়ে পরছে। এর ফলে একদিকে অপরাধের প্রবণতা যেমন বাড়ছে অন্যদিকে তরুণদের একটি অংশ দিক নির্দেশনাহীন হয়ে চরম সংকটে পতিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাদক কেবল সমাজ, জাতি ও দেশেরই ক্ষতি করে না; সভ্যতা ও সংস্কৃতিকেও বিপন্ন করে। তাই সময় থাকতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনগুলোকেও নানা ধরনের উদ্বুদ্ধমূলক কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা সোহেল বলেন, তরুণরাই জাতির ভবিষৎ। তাদেরকে যদি আমরা এ নেশার জগৎ থেকে বের করতে না পারি তাহলে আমাদের সমাজকে কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। পরিবারের মধ্যে বন্ধন কমে যাওয়ায় শিশুরা বিপথগামী হবার সুযোগ পাচ্ছে। বাবা-মাকে আরও যতœশীল হতে হবে শিশুদের ব্যাপারে। স্কুল কলেজ সহ সকল সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। মাদকের কুফল সম্পর্কে সকলকে সচেতন করতে হবে।