ক্রাইমবার্তা রিপোট:বিএনপি-জামায়াতের পেট্রোল বোমায় নিহত কক্সবাজারের তিন কৃষক পরিবার সাহায্য বঞ্চিত। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা আশ্বাসের দুই বছর পরেও সাহায্য মেলেনি এখনো। সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসকের তরফ থেকে সুপারিশপত্র পাঠানো হলেও, আশ্বাস বাস্তবে পরিণত হয় নি। এ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে নিহত পরিবারের সদস্যরা।
দুই বছর পার হলেও চকরিয়ার গবিন্দপুর গ্রামে মা সালেমা খাতুনের বিলাপ কারো কানে পৌঁছায়নি। উন্নত জীবনের আশায় সন্তানকে কতারের উদ্দেশ্যে বিদায় দিয়েছিলেন। মা জানতেন না সে বিদায়ই শেষ বিদায়। সন্তান রাশেদুল ইসলাম বাদশা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পৌঁছালে তাকে বহনকারী গাড়িতে পেট্রোল বোমা পড়ে দগ্ধ হয়ে নিহত হন রাশেদুল।
নিহত রাশেদুলের মা ছালেমা খাতুন বলেন, ‘ছোট ছোট দুইটা নাতি নিয়ে, ছেলের বউ নিয়ে যতটুকু পারছি চলছি, আর চলতে পারছি না।’
২০১৫ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে পেট্রোল বোমায় মারা যান কাতারগামী আরেক কৃষক আবু তাহের। বাবা হারা দুই সন্তানকে নিয়ে দিশেহারা তাহেরের স্ত্রী নূরজাহান বেগম। অসহায়ত্বের কথা বলতে গিয়ে নূরজাহান বলেন, ‘চলার আর কোন পথ নেই। এক বেলা নিয়ে এসে আরেক বেলা খেতে পারি না।’
সেদিন রাশেদুল ও আবু তাহেরের সহযাত্রী কাতারগামী ছিলেন চকুরিয়া হারবাং এলাকার কৃষক ইউসুফও। পেট্রোল বোমার আগুনে তিনিও ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। নিহত ইউসুফের স্ত্রী ফরিদা বেগম বলেন, ‘গুরু-ছাগল বেচে, মেয়ের স্বর্ণ বেচে কোনরকম দিন চলছে। সব টাকা খরচ হয়ে গেছে।’
বিএনপি জামায়াতের হামলায় নিহতদের ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দেয়া হলেও নিহত রাশেদ, তাহের ও ইউসুফের পরিবার এখনো সাহায্য পায় নি।
এলাকাবাসীদের একজন বলেন, এখানে-সেখানে আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে যা পায় তাই নিয়ে এই তিন পরিবার দিন কাটায়। সূত্র : একাত্তর টিভি
এক্সক্লুসিভ নিউজ