ক্রাইমবার্তা রিপোট:জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সভার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন ঘোষণার পর এখন নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের আন্দোলন জোরদার করতে হবে। কারণ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সরকার, নির্বাচনে নিয়োজিত নয় লাখ কর্মকর্তা, কর্মচারি নিরপেক্ষ না হলে এককভাবে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারবে না।
জেএসডি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় এ বক্তব্য দেয়া হয়।
জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সহ-সভাপতি মিসেস তানিয়া ফেরদৌসীসহ আতাউল করিম ফারুক, সিরাজ মিয়া, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ডা. জবিউল হোসেন, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, আহসান উদ্দিন চৌধুরী সুইট, মোশারফ হোসেন, আবদুর রাজ্জাক রাজা, অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, সাহিদ সিরাজী, কাজী আবদুস সাত্তার, আমির উদ্দিন, এস এম সামসুল আলম নিক্সন প্রমুখ পার্টির নেতবৃন্দ।
এত নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিভিন্ন শ্রম-কর্ম-পেশা, নারী, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা থেকে অদলীয়ভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ গঠন করতে হবে। সেই উচ্চকক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিধান করা হলে সে সরকার নিরপেক্ষ ও জবাবদিহিমুলক হবে। এ আন্দোলন জোরদার করার জন্য তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে।
এদিকে পার্টির প্রস্তাবে এ আন্দোলন জোরদার করার লক্ষ্যে ২ মার্চ স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলন দিবস, ৩ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ দিবস ও আগামী ২৩ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জেএসডির জনসভা সফল করার জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসব কর্মসূচি সফল করার জন্য স্টিয়ারিং কমিটির ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আহবান জানান হয় সভা থেকে।