সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ

ক্রাইমবার্তা রিপোট:চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আজ শনিবার আওয়ামী লীগের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। 32

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আওয়ামী লীগের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪টায় হাটহাজারী পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এম এ সালামের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা আওয়ামী লীগ এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকলেও সংঘর্ষের কারণে বক্তব্য দিতে পারেননি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু ও হাটহাজারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন নোমানের সমর্থকদের কথাকাটাকাটির জের ধরে সংঘর্ষের সূত্রপাত। এ সময় মঞ্চে অতিথিদের ফুল দেওয়া নিয়ে প্রথমে কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে চেয়ার ছোড়াছুড়ির কারণে বেশ কয়েকজন কর্মী রক্তাক্ত হন। পরে সব চেয়ার, মাইক ও কয়েকটি ক্যামেরা ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। এ সময় বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন।

জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য জাফর আহমদ বলেন, ‘জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এম এ সালাম ও নির্বাচিত সদস্যদের সংবর্ধনা সভার আয়োজন করে হাটহাজারী উপজেলা আওয়ামী লীগ। কর্মীরা সালাম ভাইকে নিয়ে স্লোগান দিতে থাকলে সালাম ভাই বেশ কয়েকবার তাঁদের নিষেধ করেন। এ সময় ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। তবে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কর্মীদের ব্যাপারে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেবে।’

উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এ সভার মঞ্চে ২০১৪-১৫ সালের বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনের অভিযুক্ত কর্মী আলী, জাফর ও মীর হান্নানকে দেখে চেতনা একাত্তরের কর্মীরা প্রতিবাদ করে। এ সময় চেতনা একাত্তরের কর্মীরা অতিথিকে ফুল দেওয়ার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমানের লোকজন তা ফেলে দেয়। এর পর থেকে উত্তেজনা শুরু হয়।

যুবলীগের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক মো. সেলিম জানান, সংবর্ধনা সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অতিথিদের ফুল দেবেন এমন কথা ছিল। কিন্তু শুরু থেকে আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল আলম মঞ্জুর সমর্থকরা ফুল দেওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু করলে সভায় বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।

Check Also

৩০ জুলাই পর্যন্ত অনেক দল সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, সংগ্রামে যুক্ত হবে কি না: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।