ক্রাইমবার্তা রিপোট:গাজীপুর সংবাদদাতা, গাজীপুরের শ্রীপুর থানার একটি হত্যা মামলায় ডাকাতদলের একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং অপর আট জনকে খালাসের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে একই সঙ্গে দ-প্রাপ্ত আসামিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের সশ্রম কারাদ- দেয়া হয়। রবিবার গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ এ.কে.এম এনামুল হক এ রায় ঘোষনা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামি হলো- সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার থানার কাঠালবাড়ি ভোগরা বাজার এলাকার মোঃ মোক্তার হোসেনের ছেলে মোঃ রুবেল শামা (২৬)। রায় ঘোষণাকালে দন্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক ছিলেন।
গাজীপুর জজ কোর্টের পিপি এড. হারিছ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, ২০১২ সালের ৮ নবেম্বর শ্রীপুর থানার ভাংনাহাটি গ্রামে আব্দুস সোবহানের বাড়িতে আসামিরা ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতরা আব্দুস ছোবহানের ভাতিজা মোস্তফা কামালের গলায় ছোরা ধরলে তার ছেলে চিৎকার শুরু করে। এতে আশ পাশের লোকজন জড়ো হয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে দুইটি ককটের বিস্ফোরন ঘটায়। ককটেলের বিকট শব্দে মোস্তফা কামাল হার্ট এ্যাটাকে মারা যান। ডাকাতদের হামলায় আব্দুস সোবহানের বড় ভাই সিদ্দিকুর রহমান আহত হয়। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মোস্তফা কামালের মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। এ ঘটনায় নিহতের চাচা মোঃ আবদুস সোবাহান বাদি হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর মডেল থানা এসআই অচিন্ত দেবনাথ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে ১৯ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৫ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর পেনাল কোডের ৩৯৬ ধারায় আদালতে এ মামলার অভিযোগ পত্র গঠন করে মোট ১০জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে রবিবার আদালত ওই রায় প্রদান করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি এড. হারিছ উদ্দিন আহম্মেদ এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড. মো: শরিফুল আলম।