ক্রাইমবার্তা রিপোট:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারাগারকে একটি নিরাপত্তামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, কারাগার সংশোধনাগার হিসেবে ‘বন্দির হাতকে কর্মীর হাতে’ রূপান্তর করে থাকে।
বন্দিদের সাজা কার্যকর করার পাশাপাশি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের চারিত্রিক সংশোধন এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ কারা বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলেও তিনি বলেন ।
প্রধানমন্ত্রী ‘কারা সপ্তাহ-২০১৭’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। তিনি আশা করেন, কারা বিভাগ কঠোর নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার মাধ্যমে বন্দিদের নিরাপদ আটক নিশ্চিত করবে। কারাবন্দিদের বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা, আত্মীয়-স¦জন, বন্ধু-বান্ধব ও আইনজীবীর সাথে সাক্ষাৎ নিশ্চিত করাসহ তাদের প্রতি মানবিক আচরণ সমুন্নত রাখতে আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর দেশের কারাগারগুলোর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে। ‘আমরা কারাগারকে বন্দি সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। গত ৮ বছরে আমরা নতুন ১৩টি কারাগার নির্মাণ করেছি। নতুন আরো ৮টি কারাগার নির্মাণের কাজ চলছে। ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারকে কেরাণীগঞ্জে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, তার সরকার ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ‘কারা প্রশিক্ষণ একাডেমি’ স্থাপন, ‘কারা নিরাপত্তা আধুনিকায়ন প্রকল্প’, ‘মহিলা কারারক্ষীদের আবাসন নির্মাণ প্রকল্প’ এবং ‘ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ প্রকল্প’ গ্রহণ করে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে।
এ কারাগারকে আরো আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংম্বলিত করে গড়ে তোলা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কারা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও বন্দিদের জন্য প্রশিক্ষণ স্কুল চালু করেছি। কারাগারসমূহে কুটির শিল্প ও বেকারি স্থাপন করা হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন ও অফিসার্স মেস নির্মাণ এবং আইসিটি ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে।’
তিনি বাংলাদেশ কারা বিভাগের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও ‘কারা সপ্তাহ -২০১৭’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।