ক্রাইমবার্তা রিপোট:সত্যি অর্থেই গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো দৃশ্য। পথচলতি মানুষের চোখের সামনে বহুতলের জানলার গ্রিল থেকে ঝুলছেন এক তরুণী। গলা থেকে শরীরের নিম্নাঙ্গ ঝুলছে হাওয়ায়। আর মাথা আটকে গ্রিলের ফাঁদে। আর্তনাদ করে নিজেকে প্রাণপণ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত পথচারীরা। কয়েকদিন আগে দক্ষিণ চিনের গুয়াংডং প্রদেশের মেইঝৌ শহরে ঘটেছে এমন ঘটনা। কী হল শেষ পর্যন্ত ওই তরুণীর? বাঁচানো গেল কি তাঁকে? আবাসনের জানলার গ্রিলে যখন তাঁর মরণবাঁচন লড়াই চলছে, তখনই ত্রাতার ভূমিকায় এগিয়ে এলেন দুই যুবক। পাশের বহুতলে কর্মরত দুই নির্মাণকর্মীর অকুতোভয় প্রচেষ্টায় শেষমেশ প্রাণে বাঁচলেন ওই তরুণী। আর্তনাদ শুনেই তাঁরা পাশের বহুতল থেকে ওই তরুণীকে বাঁচানোর জন্য ছুটে আসেন। প্রথমে তাঁরা পাশের বহুতলের ছাদে ওঠেন। তারপর একজন সেখান থেকে প্রাণ বাজি রেখে তিন তলার কার্নিশ বেয়ে ওই জানলার কাছে এসে পৌঁছন। সেখানে তিনি নিচে থেকে ওই তরুণীর পা উপরের দিকে তুলে ধরেন। যাতে গলায় গ্রিলের চাপ কম পড়ে।
এরপর অন্যজন ওই কার্নিশ বেয়ে গ্রিলের উপর উঠে হ্যাক্সো ব্লেড দিয়ে গ্রিল কাটার চেষ্টা করেন। প্রত্যক্ষদর্শী লিউ জানিয়েছেন, ওই তরুণীর আর্তনাদ শুনে তিনিও রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। এরপর ঘর থেকে একটি বড় কম্বল নিয়ে তিনি ওই জানলার নিচে চলে আসেন। আরও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীদের সাহায্যে সেই কম্বল টেনে ধরেন তিনি। যাতে কোনওভাবে ওই তরুণী নিচে পড়ে গেলে তাঁকে বাঁচানো যায়। প্রায় আধঘণ্টার চেষ্টায় গ্রিল থেকে মুক্ত করা যায় ওই তরুণীকে। গোটা ঘটনার ভিডিও করে এক প্রত্যক্ষদর্শী ইউটিউবে আপলোড করে দেন।
ওই দুই নির্মাণকর্মীর অসীম সাহসিকতার জোরেই প্রাণে বাঁচেন ওই তরুণী। ঝং নামে এক উদ্ধারকারী জানিয়েছেন, তাঁর জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও তাই করত। এটা কোনও বড় বিষয় নয়। তবে কীভাবে ওই তরুণী গ্রিলের ফাঁদে আটকে গেলেন তা পরিষ্কার নয়। জানা গিয়েছে, তাঁর মা ঘটনার সময় বাইরে কাজে গিয়েছিলেন। তখন ওই তরুণী নিজেকে ঘরের মধ্যে বন্ধ করে দিয়েছিলেন। অনুমাণ, কোনওভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা করছিলেন তিনি।