ক্রাইমবার্তা রিপোট: শেখ হাসিনার অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচনের প্রশ্নই আসে না। সেই নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। কারণ বেগম জিয়া ছাড়া নির্বাচন দেশের মানুষের কাছে তো অবশ্যই বর্হিবিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছেও সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি আয়োজিত ‘পিলখানায় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যায়নি। সুতরাং আগামী নির্বাচনেও যাবে না। তবে সরকার যদি ভাবে বিএনপি চুপ চাপ বসে আছে। এটা ভাবলে ভুল হবে। কারণ ধাক্কা দিলে পাল্টা ধাক্কা দেওয়ার ক্ষমতা বিএনপির আছে।
সরকারকে উদ্দেশ্য তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়াকে সাজা দিবেন। কিন্তু কী করেছেন তিনি, যে কারণে তিনি জেলে যাবেন? যদি বেগম জিয়াকে সাজা দেওয়া হয় তাহলে সেটা হাসিনার প্রতিহিংসা এবং আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য- বলেন গয়েশ্বর।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, এখনও সময় আছে। আপনার পরিবর্তে সহায়ক সরকারের প্রধান কে হবেন, সেই বিষয়ে আলোচনা করুন। আগামী নির্বাচনে সহায়ক প্রধান হয়ে কোন নিরপেক্ষ ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবেন সেই পদ্ধতি খোঁজে বের করুন। কারণ সেই সরকার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না। হতে দেওয়া হবে না।
বিডিআর হত্যার বিচার খোলা মাঠে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশী মদদে এ হত্যাকান্ড সংর্গঠিত হয়। তবে একদিনে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা সংর্গঠিত হয় নাই। সেই দিন কিলিং স্পটে যারা ছিলেন তারা এখনও ধরা পড়েনি। তাদের সবার দেশের বাইয়ে চলে গেছেন। কিন্তু জনগণের নির্বাচিত সরকার এর বিচার করবেই।
পুলিশকে আওয়ামী লীগ নিজেদের রক্ষার কাজে ব্যবহার করছে, জনগণের স্বার্থে নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।