ক্রাইমবার্তা রিপোট:মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যের বিরুদ্ধে ভিজিএফ কার্ড দেওয়ার কথা বলে মাকে আটকে রেখে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
ইউপি সদস্যের নাম কামাল মোল্লা। তিনি উপজেলার বালুরচর ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। এ ঘটনায় ওই ইউপি সদস্যের বাড়ির ভাড়াটিয়া পান্না আক্তারকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিজিএফ কার্ড পাওয়ার আশায় গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর মা মেয়েকে নিয়ে ইউপি সদস্য কামাল মোল্লার বাড়িতে যান। ইউপি সদস্য ওই ছাত্রীর মাকে অন্য একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। এতে সহায়তা করেন বাড়ির ভাড়াটিয়া পান্না আক্তার। মেয়েটিকে আরেকটি ঘরে নিয়ে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ করেন ওই ইউপি সদস্য। বিষয়টি জানাজানি হলে ইউপি সদস্য পালিয়ে যান। মেয়েটিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন জানান, ওই মেয়েটিকে আজ সোমবার বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আগামীকাল গাইনি ডাক্তার এসে পরীক্ষা করবেন।
এ বিষয়ে বালুরচর ইউপির চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ভিজিএফ কার্ডের কর্মসূচি অনেক আগে শেষ হয়ে গেছে। আর ওই ছাত্রীর মা সংশ্লিষ্ট এলাকার নন। তাই তিনি ভিজিএফ কার্ড পেতে পারেন না। তাঁকে হয়তো প্রলোভন দেখানো হয়েছে।
ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল। টাকা-পয়সাও নেই, চিকিৎসা করাব কী দিয়ে?’
জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান জানান, এ ঘটনায় ওই ইউপি সদস্যের বাড়ির ভাড়াটিয়া পান্না আক্তারকে আটক করা হয়েছে।