ভারত চায় চুক্তি বাংলাদেশ চায় মুক্তি : প্রধান

ক্রাইমবার্তা রিপোট:২০ দলীয় জোটের শরীক, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেছেন, জেল-জুলুম-ফাঁসি কিংবা একদলীয় শাসন যে ক্ষমতার গ্যারান্টি ক্লজ নয় এখন তা সব নেতাদের বোঝা উচিত। তিনি বলেন, দেশ কেনা-বেচার রাজনীতি চলবে না চলতে দেয়া হবে না। এটা কোনো দলীয় ইস্যু হতে পারে না। দেশের মালিক জনগণ। তবে ভারত চায় চুক্তি বাংলাদেশ চায় মুক্তি। নিয়তির খেলা বড়ই ভয়ংকর।

পঞ্চগড় জেলায় ৩ দিনব্যাপী সফরের দ্বিতীয় দিনে বাংলাবান্ধা, তীর্ণই হাট, তেঁতুলিয়া, ভজনপুর, শালবাহান, ভাওয়ালগঞ্জে জনসংযোগ ও পথসভায় প্রধান এসব কথা বলেন।

প্রধান আরো বলেন, দেশবিরোধী যে কোনো সামরিক চুক্তির পরিণাম হবে ভয়াবহ। জন্মলগ্ন থেকেই ভারত আমাদের সাথে বেনিয়ার মতো আচরণ করেছে। দিল্লী কখনো চায়নি বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। ৭ দফা, ২৫ সালা গোলামি চুক্তি ও রক্ষীবাহিনী গঠনের ইতিহাস আজও দেশবাসী ভুলেনি। মরণবাঁধ ফারাক্কাসহ উজানের সব নদীতে বাঁধ দিয়ে ওরা আমাদের ভাতে মারছে-পানিতে মারছে। সীমান্তে প্রতিদিন আমাদের মানুষদের পাখির মতো হত্যা করা হচ্ছে। যে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম সেই গণতন্ত্রকে বুটের তলায় পিষে দিয়ে ভোটারবিহীন এক সেবাদাস সরকারকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষকে গোলাম বানানো হচ্ছে।

তিনি সর্তক করে দিয়ে বলেন, দালালদের কিভাবে জবাব দিতে হয় ৭ নভেম্বরের মহান গণসিপাহী জাগরণের ইতিহাস জাতিকে তা শিখিয়েছে।

প্রধান বলেন, এখন আওয়ামী নেতারা শহীদ জিয়া ও খালেদা জিয়া সম্পর্কে যাই বলুন না কেন আওয়ামী লীগের ইতিহাস ষড়যন্ত্রের ইতিহাস, চক্রান্তের ইতিহাস, দেশ বিক্রির ইতিহাস। দিল্লীর ইশারায় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক-বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ওরা মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ওসমানীকে আসতে দেয়নি। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে পঙ্গু বানিয়ে ভারতীয় পরিকল্পনায় রক্ষীবাহিনী গঠন করা হয়। শহীদ কমরেড সিরাজ শিকদারসহ ৩০ হাজার দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়। ৫ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনে কিভাবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে দেশবাসী ও তাবত দুনিয়া তা জানে। এখন আমাদের পতাকা আছে স্বাধীনতা নাই। ভূখণ্ডআছে সার্বভৌমত্ব নাই। নির্বাচন আছে ভোট দেয়ার অধিকার নাই। কথিত বন্ধুত্ব ও চুক্তির নামে এভাবেই সিকিম, ভুটান ও নেপালকে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাগপার সহ সভাপতি অধ্যাপিকা রেহেনা প্রধান, সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, সহ সভাপতি ও রংপুর জেলা সভাপতি খন্দকার আবিদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক দেওয়ান নাসিরউদ্দিন, যুব জাগপার সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদউদ্দিন, পঞ্চগড় জেলা জাগপার আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী, সদস্য সচিব মফিদুল ইসলাম মফি, তেঁতুলিয়া উপজেলা সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল খালেক, পঞ্চগড় সদর উপজেলা সভাপতি এমদাদউল্লাহ ভূইয়া, বোদা উপজেলা সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মাস্টার, কেন্দ্রীয় জাগপা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক আবু নাঈম প্রমুখ।

Please follow and like us:

Check Also

অনিশ্চয়তার নতুন যুগে মধ্যপ্রাচ্য

ইউক্রেন-রাশিয়া রেশ কাটতে না কাটতেই ফিলিস্তিনের গাজায় শুরু হয় ইসরাইলি আগ্রাসন। এরপর থেকে অশান্ত হতে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।