ক্রাইমবার্তা রিপোট:ফেনীর ফরহাদ নগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে আটজন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।আহতদের চারজনকে অশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদ নগর ইউনিয়নের খাইয়ারা বাজারের সুবলপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন টিপুসহ যুবলীগ নেতা সানাহ উল্লাহ ও সবুজ এবং ছাত্রলীগ নেতা সজিব সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে স্থানীয় কেএম হাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি নির্বাচনের মনোনয়ন কিনতে রওনা হন।
পথিমধ্যে তাদের বহনকারী অটোরিকশাটি সুবলপুর পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে দুটি অটোরিকশা তাদের গতিরোধ করে। ওই অটোরিকশা দুটিতে থাকা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফোরকান চৌধুরীর সমর্থিতরা তাদের ওপর নির্বিচারে গুলি ছোঁড়ে। এসময় টিপু সমর্থিতরাও পাল্টা আক্রমণ করলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
একপর্যায়ে টিপু সমর্থিতরা এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষের লোকজন অটোরিকশা ফেলে পালিয়ে যায়। এসময় বিক্ষুব্ধরা অটোরিকশা ভাংচুর করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে।
সংঘর্ষে সানাহ উল্লাহ, সজিব, সবুজ, শহীদুল ইসলাম শামীম, আফসার, আবু তৈয়ব ও রিয়াদ হোসেনসহ দুপক্ষের ১০জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ সানাহ উল্লাহ, সবুজ, আফসার ও শহিদুল ইসলাম শামিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চমেক হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যন মোশাররফ হোসেন টিপু বলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফোরকান চৌধুরীর বাহিনীর শাহাদাত, মামুন, আজগর, বাদশা মেম্বার, বশির মেম্বার, ঝিকু, আরিফ, জুয়েল, স্বপন ও মিলন বিনা উস্কানিতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে।
তবে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ফোরকান চৌধুরী বলেন, দুপুরে তিনি কেএম হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির মনোনয়পত্র সংগ্রহ করে ফেনীতে ফিরে আসেন। ওই সময় কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
‘তিনি শুনেছেন- খাইয়ারা বাজারে চেয়ারম্যান টিপু ও তার লোকজন একটি অটোরিকশায় হামলা করে চালককে কুপিয়ে আহত করেছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে চেয়ারম্যন টিপু বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনার তাকে জড়িয়ে তার সম্মনহানির চেষ্টা চালানো হচ্ছে’ দাবি করেন তিনি।
ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর হোসেন জানান, ‘যতটুকু জেনেছি- উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সমর্থিতরা বিনা উস্কানিতে চেয়ারম্যান টিপুকে হত্যার চেষ্টায় তার ওপর হামলা করে।’
এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীকে জানানো হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. রাশেদ খান চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।