ক্রাইমবার্তা রিপোট: ১৬ মার্চ ২০১৭,বৃহস্পতিবার,বরাদ্দ বাতিলের পরও সরকারি বাড়ির বরাদ্দ বাতিল করা করার পরও ‘বিধিবহির্ভূতভাবে’ বসবাস করছেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। সরকারি আবাসন অধিদফতরের এক চিঠি থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
অধিদফতরের সহকারি পরিচালক মাসুদুল আলম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে, মাননীয় বিচারপতি জনাব এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী এর ০৩-১০-২০১৫ ইং তারিখে অবসরজনিত কারণে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশ অনুযায়ী অবসর গ্রহণের তারিখ ০৩-১০-২০১৫ হতে ০২-০৪-২০১৬ ইং তালিখ পর্যন্ত ৬ (ছয়) মাস বসবাসের সময় প্রদানপূর্বক তার নাম হতে বিবেচ্য বাড়ির বরাদ্দ বাতিল করা হয় এবং প্রদত্ত সময়ে স্থানীয় গণপূর্ত রক্ষণাবেক্ষণ অফিসের বরাবরে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য পত্রের মাধ্যমে অনুরোধ করা হয়।
কিন্তু তিনি বাড়িটির খালি দখলভার স্থানীয় গণপূর্ত অফিস বরাবর হস্তান্তর না করে ০৩-০৪-২০১৬ তারিখ হতে অদ্যাবধি বিধিবহির্ভূতভাবে বসবাস করছেন বিধায় তার নিকট হতে বাংলাদেশ বরাদ্দ বিধিমালা ১৯৮২ এর ১৯(২) উপবিধির আওতায় প্রামাণিক ভাড়া আদায়যোগ্য।
উল্লেখ্য, বিচারপতি মানিক এলএলবি, এলএলএম পাস করার পর বার এট ল’ (ব্যারিস্টার) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৭৮ সালে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেন। বিচারপতি মানিকসহ ১১ জন আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। পরে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে তাদের আর স্থায়ী নিয়োগ দেয়নি।
এই স্থায়ী নিয়োগ না দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট মামলা হয়। এ রিট মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ ২০০৯ সালের ২ মার্চ তাদের স্থায়ী নিয়োগ দিতে বলেন।
আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ তাকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর অবসরে যান।