সেনা বাহিনীর প্যারা কমান্ডোর নেতৃত্ব অভিযান শুরুর পর শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে তিন দফায় দ্বিতীয়তলা থেকে পঞ্চমতলা পর্যন্ত অবরুদ্ধ ২৮টি পরিবারের ৬৯ জন সদস্যের সবাইকে উদ্ধার করা হয়।
পৌনে ১২টার দিকে দ্বিতীয় দফায় ভবন থেকে বেরিয়ে নজরুল ইসলাম নামে এক চাকুরিজীবী ফোনে যুগান্তরকে জানান, ১২টি পরিবারের সদস্যকে সেনা বাহিনীর প্যারা কমান্ডো বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। পরে তাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
তার পরিবারের সঙ্গে বাড়িটিতে অবরুদ্ধ থাকা পুলিশ কর্মকর্তা মুহিবুর রহমানের স্ত্রী-সন্তানরাও বেরিয়ে এসেছেন বলে জানান নজরুল ইসলাম।
তিনি আরও জানান, ভবনে থাকাকালীন তাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বর্তমানে প্যারা কমান্ডোরা জঙ্গিদের ফ্ল্যাটটি ঘিরে রেখেছে।
এরপর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ভবন থেকে বাকি সদস্যদেরও নিরাপদে বের করে আনা হয় অভিযান সূত্রে জানা গেছে।
আতিয়া মহলে ২০টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ১৭টি ফ্ল্যাট ভাড়া ছিল। এর মধ্যে নিচতলার একটি ফ্ল্যাট মর্জিনা ও কাউসার স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে ভাড়া নেয়।
আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারণা, জঙ্গি মুসা নাম বদলে কাওসার নাম নিয়ে ওই বাসায় উঠেছে।
এর আগে শনিবার সকাল পৌনে ৯টায় সেনা বাহিনীর প্যারা কমান্ডো বাহিনীর নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়।
প্রবল ঝড় ও বৃষ্টির মধ্যেই অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুই রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে।
অভিযান তত্ত্বাবধান করছেন সেনা বাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেন।
এই অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’। প্যারা কমান্ডো দলকে অভিযানে সহযোগিতা করছে সোয়াত ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা।
চূড়ান্ত অভিযানের আগে সকাল ৭টার দিকে জঙ্গি আস্তানার আশপাশ থেকে লোকজন ও সাংবাদিকদের এক কিলোমিটার দূরে সরিয়ে নেয়া হয়।
এর আগে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়ে শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে ‘আতিয়া মহল’ নামের পাঁচতলা ভবনটি ঘিরে রাখে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। বাড়িটির প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়।