ক্রাইমবার্তা রিপোট:আলমগীর হোসেন দেশের সংবাদ বার্তা বিভাগ: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষন করার অভিযোগ উঠেছে জেলার সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ গ্রামের (কাশেম আলী মেস্ত্রী বাড়ীর) শাহাজাহানের বখাটে পুত্র মো: সুমন (২২) এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর ওই ছাত্রীর অভিবাবকরা তাকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগি ওই ছাত্রী রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের অসহায়, গরীব রিক্সা চালক মো: শামসুল আলম ওরুপে সুন্দর আলীর মেয়ে।
ভুক্তভোগি পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন থেকে বখাটে সুমন ওই ছাত্রীকে উত্যাক্ত করে আসছে। এক পর্যায়ে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ওই ছাত্রীর ছোট বোনকে নিয়ে স্থানীয় ডাগ্গা তলী বাজারে খাতা কিনতে আসলে সুমনের যোগসাজসে তার বন্ধু ওই এলাকার বখাটে আলমগীর, সজীবসহ ৩/৪ জন ওই ছাত্রীর পথ গতিরোধ করে তার ছোট বোনকে তাড়িয়ে দিয়ে তাকে একটি ঘরে আটকিয়ে রাখে। তার ছোট বোন বাড়িতে গিয়ে বাবা-মা কে অবহিত করলে এই ঘটনাটি জানাজানি হয়। এতে করে বখাটেরা প্রায় ২-৩ ঘন্টা আটকের পর তার শ্লীলতাহানী ঘটিয়ে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়ে হুমকী-ধুমকী দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে কতিপয় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে ভুক্তভোগি পরিবার থেকে মামলা-হামলা করলে ওই পরিবারকে এলাকা ছাড়া করবে বলে অভিযোগ করেন ওই পরিবার।
এর আগে বখাটে সুমন একই এলাকার প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে অপকর্মে জড়িত থাকা অবস্থায় এলাকাবাসী হাতে-নাতে ধরে ফেলে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়রা তাকে গণধোলাই দিয়ে মুচলেকা নিয়ে অভিবাবকের কাছে হস্তান্তর করে। তার স্বভাব চরিত্র নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ।
ভুক্তভোগি অভিযোগ করে বলেন, সুমন দীর্ঘ দিন আমার সাথে ফোনে কথা বলে। একপর্যায়ে তার সাথে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের দোহাই দিয়ে আমাকে বিয়ে করবে বলে তার সাথে আমার একাধিকবার মেলা-মেশা হয়।
ভুক্তভোগি ওই ছাত্রীর মা কান্না কন্ঠে বলেন, আমরা গরীব মানুষ। আমাদের মেয়েকে বিয়ের প্রলোবন দিয়ে বখাটে সুমন তার ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এখন ওই বখাটেদের ভয়ে মেয়ের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। এ ঘটনার আইনের আশ্রয় নিলে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ এলাকা ছাড়া করবে বলে হুমকী দিচ্ছেন ওই বখাটেরা এমনই অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে সুমনের সাথে কথা হলে সে ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে অপবাদ তুলেন এবং এ ঘটনার সত্যতা স্বাকীর করে বলেন, বিগত কয়েকমাস যাবত ওই মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। এরই সূত্রপাতে তারা মেলা-মেশা করেন।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নুরুন্নাহার বলেন, সে কয়েকদিন যাবত বিদ্যালয়ে আসছে না। তবে ঘটনার অভিযোগ পেলে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেষ্টার অভিযোগে এলাকা চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবী করেন এলাকাবাসী।