ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :এ মাসের গোড়ার দিকে দেশটির উচ্চ আদালত পার্ককে (৬৫) ক্ষমতাচ্যুত করে। এর মধ্যদিয়ে তার নির্বাহী দায়মুক্তির অবসান ঘটে। লাখ লাখ লোক তার বিচারের দাবি জানিয়ে আসছিল এবং তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে তারা রাজপথে অবস্থান নিয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক এ প্রেসিডেন্টকে ঘুষ গ্রহণ, সরকারি তথ্য ফাঁস এবং ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
প্রসিকিউটরদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযুক্ত এ প্রেসিডেন্ট ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশের বৃহৎ কোম্পানীগুলোর কাছ থেকে ঘুষ নেন এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্য ফাঁস করে দেন।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে এ পর্যন্ত অনেক প্রমাণ সংগ্রহ করা হলেও পার্ক তার বিরুদ্ধে আনীত অধিকাংশ অভিযোগ প্রত্যাখান করেছেন।
এক্ষেত্রে প্রসিকিউটররা বলেন, এ অবস্থায় পার্ককে গ্রেফতার করা না হলে তা হবে ন্যায় বিচারের পরিপন্থী।
সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক কোর্ট পার্কের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন মঞ্জুর করলে এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশে দুর্নীতি প্রশ্নে তিনি হবেন গ্রেফতার হওয়া তৃতীয় সাবেক নেতা।