ক্রাইমবার্তা রিপোট:পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥পাইকগাছায় গদাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নামে গাছ কাটার অভিযোগে অবশেষে মামলা
পত্রিকায় খবর প্রকাশিত ও এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী জুনায়েদুর রহমানের নামে বনবিভাগ অবশেষে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেছে। অপরদিকে অর্থ আত্মসাৎ, রাস্তার ক্ষতিসাধন ও সরকারি অর্থে রাস্তা সংস্কার করায় সচেতন ইউনিয়নবাসী স্থানীয় সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী জুনায়েদুর রহমান আইন বহিঃভূতভাবে ইউনিয়নের সু-সাহিত্যিক কবি কাজী ইমদাদুল হক সড়ক, শহীদ গাজী শামছুর রহমান সহ বিভিন্ন সড়কের দু’ধারে বটগাছ, আম, মেহগনি, রেন্টি সহ বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক গাছ বিক্রি করে ৪০ লাখথ টাকা আত্মসাৎ করেছে। পরিবেশ ও বনের ক্ষতি, গাছের গুড়া-খুড়ে, গাছ কর্তন, রাস্তা ক্ষতি সাধন, সরকারী অর্থ ব্যয় রাস্তা সংস্কার বিষয় এলাকাবাসী প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা সহ পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। যার ফলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, বাগেরহাট গত ২৫/০২/২০১৭ তারিখে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠণ করে দেন। জেলা ফরেস্ট রেঞ্জার মাসুদ সরদার নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি তদন্ত করে সরকারী নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে গাছ কর্তন করেছে মর্মে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর ২৮/০২/২০১৭ তারিখে প্রতিবেদন দেন। তারই আলোকে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ইং- ১৫/০৩/২০১৭ তারিখে পাইকগাছা উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ২২.০১.০১০০.৩৮১.১৫.০০১.১৭-৬৯১ নং পত্রে ও পিওআর মামলা নং- ০২/পাইক/০৮/সা/বাগেরহাট ২০১৬-২০১৭, তাং- ১৫/০৩/২০১৭ বন আইন- ১৯২৭ (সংশোধনী-২০০০) মতে ৪১ (২) (গ) (ঘ) (ঙ) (ঝ) ধারায় মামলা করেছে। আদালত মামলা নং- সি.আর ১৭৫/১৭। অপরদিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়, রাজস্ব ডেপুটি কালেক্টর সাইফুর রহমান ০৫.৪৪.৪৭০০.০৩১.১৪.০০৫.১৭.৫৯৪ যুক্ত (৪) স্মারকে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফকরুল হাসান জানান, আমি ও এসিল্যান্ড সাহেব তদন্ত করে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করব। অপর দিকে অর্থ আত্মসাৎ, রাস্তার ক্ষতিসাধন পূর্বক জনগণের চলাচলের বিঘœ ও ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা সরকারী অর্থে সংস্কার করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সচেতন ইউনিয়নবাসী।
পাইকগাছায় টু কপিলমুনি রাস্তা সংস্কারের দাবীতে নাগরিক কমিটির মানববন্ধন
পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছা টু কপিলমুনি রাস্তা সংস্কারের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবীতে নাগরিক কমিটির উদ্যোগে প্রায় শতাধিক বিভিন্ন সংগঠণ মানববন্ধন করেছে। বুধবার সকালে পাইকগাছা নাগরিক কমিটির ডাকে উপজেলা পরিষদের সামনে নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে একত্ত্বতা পোষন করেন পাইকগাছা প্রেসক্লাব, মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ, ফসিয়ার রহমান কৃষি ও জনকল্যাণ সমিতি, টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফসিয়ার রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয়, পরিবহন মালিক সমিতি, মিনিবাস মালিক সমিতি, এ্যালুমিনিয়াম সমিতি, বাজার বস্ত্র বিতান সমিতি, কাঁকড়া সমিতি, এএসএসবি সেন্টার, মাইক্রো স্ট্যান্ড ড্রাইভার, টিডিআর, সুন্দরবন স্পোর্টিং ক্লাব, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ, কপিলমুনি মটরসাইকেল চালক সমিতি, খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি, পাইকগাছা পোনা ব্যবসায়ী সমিতি, ডিফোরএফটু সমিতি, কসমেটিক্স সমিতি, চাউল ব্যবসায়ী সমিতি, কাঁচা বাজার সমিতি, মৎস্য আড়ৎদারী সমিতি, খুচরা মাছ ব্যবসায়ী সমিতি, চিংড়ি বিপনন সমিতি, পাদকুা সমিতি, সুতা ও জাল ব্যবসায়ী সমিতি, মুদি ব্যবসায়ী, মুরগী ব্যবসায়ী, সবুজ মৎস্য খামার, সাফোয়ান একোয়া কালচার, এফএফবি ব্রিকস্, মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, চেয়ারম্যান এনামুল হক, সাংবাদিক গাজী সালাম, জি,এ, গফুর, মিজানুর ররহমান মিজান, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, এ্যাডঃ মোতর্জা জামান আলমগীর রুলু, মনোহার সানা, মোশারাফ আলম, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
পাইকগাছায় সহকারী শিক্ষিকা রোকসানা পারভীনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন
পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার তপন কুমার কর্মকার ও যতি শংকর রায়ের সমন্বয়ে দু’সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ৫০নং পাইকগাছা ভিলেজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এ তদন্ত কার্য সম্পন্ন করেন। উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি ডাঃ কৃষ্ণপদ মন্ডল সহ সকল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা একযোগে ৯টি অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রোকসানা পারভীনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন রোকসানা পারভীন জানুয়ারী মাসের ২৩ ও ২৪ তারিখ ২ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি কর্তৃপক্ষের বিনানুমতিতে দীর্ঘ ১৬ দিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকে ৮ ফেব্র“য়ারি বিদ্যালয়ে আসেন। যে কারণে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ মাজিদা খাতুন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় উক্ত অভিযোগ দাখিল হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষিকার সাথে ম্যানেজিং কমিটির দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার কারণে মাসিক হাজিরা বিবরণীতে সভাপতি স্বাক্ষর করা থেকে বিরত রয়েছেন। এছাড়াও উক্ত রোকসানা পারভীনের বিরুদ্ধে আরো ৮টি অভিযোগ এনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন।