ক্রাইমবার্তা রিপোট:গোবিন্দপর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট বই চিনিয়ে নিয়ে সীল মারতে থাকে আওয়ামী প্রার্থীর সমর্থকরা।
প্রশাসনের সহায়তায় প্রকাশ্যে জালভোট দেয়া হয় গোবিন্দপর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। দুপুর ১২ টা ৩৫ মিনিটে সবগুলো বুথে জোর করে ব্যালট বই চিনিয়ে নিয়ে সীলমারতে থাকে আওয়ামী প্রার্থীর সমর্থকরা। প্রিসাইডিং অফিসার (পিও) বিষয়টি ইসিসহ রাব, পুলিশ, বিজিবি ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়ে কোনো সহায়তা পান নি বলে অভিযোগ করেছেন। দেড়টার মধ্যে ৭০ শতাংশ ভোট হয়েছে। এখন বই দিলে ওভার কাস্টিং হবে বলে জানান পিও দিদারুল ইসলাম ও সহকারী পিও কাজী সেলিম জাহাঙ্গীর।
পিওকে জাল ভোটের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ঘটনা সত্য। তিনি বলেন, আমার ৫টি বুথের মধ্যে সবগুণোতেই জোর করে জাল ভোট দেয়া হয়। ১২টা ৩৫ মিনিটে প্রথমে দ্বিতীয় তলায় বুথে প্রবেশ করে জোর করে বই নিয়ে যায়। তাদের সাথে আমার অফিসারের ধাস্তাধস্তি হয়। গড়ে ৭০ থেকে ৮০টি করে জালভোট দেয়া হয়। তিনি জানান, ১২টা ৩৭ মিনিটে ইসিকে তিনি ম্যাসেজ দিয়ে বলেন হেলপ মি স্যার।
তিনি আরো জানান, রাব, পুলিশ, বিজিবি ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আমি ফোন ও ম্যাসেজ দায়ে সাহায্য চাই। কিন্তু তারা কোনো সাড়া দেন নি। র্যাব আসে ২ টার পর। যথন জালভোট দিয়ে তারা চলে যায়। পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল। ২ হাজার ২০টা ভোটের ৭০ শতাংশই দেড়টার মধ্যে শেষ।
আর সহকারী পিও কাজী সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, ভোটার সেজে প্রবেশ করে আমার কাছে থেকে বই নিয়ে সীল মারতে থাকে। আমার সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়। তারা তার ৪ নং বুথে ৮০টির মতোন ভোট দেয়। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও ভোটার না এমনদের দিয়ে এই সীল মারা হচ্ছে সরকারী দলের প্রার্থীর পক্ষে।