ক্রাইমবার্তা রিপোট:নাজমুল আলম মুন্না, সাতক্ষীরা। নাম আনোয়ারা আনো (৬০) দৃস্টি প্রতিবন্ধী হওয়ার ফলে তার কোন বিবাহ হয়নি, সাতক্ষীরা সদরের লাবসা ইউনিয়নের তালতলার বাসিন্দা। পিতা আমিনদ্দির সংসারে থেকেই সারাজীবন পার করে দিল। ছোট বেলায় পিতা মারা যাওয়ার পর থেকে মা পুটির সাথে প্রায় ৫০ বছর যাবদ ভিক্ষা করেই দিন চলে। ছোট বেলায় বসন্ত রোগে আক্রাক্ত হয়েছিল যার ফলে চোখ দুটি অন্ধ হয়ে যায়। প্রতিবৃহস্পতিবার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আনোয়ারাকে সাথে নিয়ে রাবিয়া খাতুন (৬৫) স্বামী-মৃত-সোনাগাজী, তিনিও লাবসা ইউনিয়নের তালতলা নামক স্থানে নিজেদের কোন রকম ভাঙ্গাচোরা ঘরবাড়ীতে বসবাস করে। চিরভিক্ষুক আনোয়ারা ও রাবিয়া দুজনে বলেন হাসিনা সরকার গরিব-অসহায়সহ অনেককে বিভিন্ন ভাতা এবং অনেক সহযোগিতা দেয় শুনি কিন্তু আমরা পাইনা আমরা দুজনে প্রতিমাসে বয়স্কভাতা পাই। আনোয়ারা অন্ধ হওয়ার ফলে ৩ মাসে ১৮০০ টাকা আর রাবিয়া ৩ মাসে ১৫০০ টাকা বয়স্কভাতা ছাড়া অন্য কিছু দেয়না। আমাগে ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মনিরুল যাদের ঘেরভেড়ী, গরু, ছাগল আছে তাদেরকে ১০ টাকা দরে চালের কার্ড দিছে তারা মাছের ঘেরে সেসব ভাত খাওয়ায় অথচ আমাগে দেয়না। তারা বলেন আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই আমদের থাকার জন্য ঘর চাই, সুস্থভাবে খাইয়ে পরে বাচতে চাই। অপর দিকে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা গ্রামের মোঃ নূর আলী গাজী (৬৫) তিনিও একজন ভিক্ষুক। তিনি বলেন কপোতাক্ষ নদীর পাড়ে সিএমবি’র যায়গায় বসবাস করি। আমার ১ কাঠা জমিও নাই। ২ মেয়ে ১ ছেলে সবার বিয়েসাদী হয়ে গেছে। তারা আমার কোন খোজ খবর নেয়না ছেলেটা আলাপও করেনা। আমি সরকারী কোন সুযোগ-সুবিধা পাইনা। আমি সাতক্ষীরা ডিসি স্যারের কাছে গেছি তিনি একটি কাগজে সই দিয়ে তালা টিএনওর কাছে জমা দিতে বলে সে মোতাবেত আমি কাগজ জমা দিয়েছি প্রায় দেড় থেকে দুমাস হয়ে গেল তবুও আজও কোন সাহায্য এখনও পাইনি। আমাদের দেখার কেউ নেই। তাই আমিসহ সকল ভিক্ষুকরা যাতে বয়স্ক ভাতাসহ মাথাগোজার জন্য একটি ঘর ও সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা চাই।