ক্রাইমবার্তা রিপোট:ফিরোজ হোসেন ঃ ২০১৬ সালে সাতক্ষীরা জেলায় অন্তত ৯৯টি নারী নির্যাতন, সাতটি অপহরণ, ১০টি ধর্ষণ প্রচেষ্টা , ১৯টি ধর্ষণ, ১০টি যৌন নির্যাতন এবং ৩৯টি নারী ও শিশু পাচারের ঘটনা ঘটেছে।জেলার আটটি থানায় যৌতুক ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় ৩০৬টি এবং ধর্ষণের ঘটনায় ৩৬টি মামলা রেকর্ড হয়। এছাড়া বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটেছে প্রায় দেড় শতাধিক। ৬৩টি বাল্য বিবাহবন্ধ করা হয়। শুক্রবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য হাজির করে বেসরকারি সংস্থা উত্তরণ। সাতক্ষীরা জেলায় মানবাধিকার পরিস্থিতির বর্তমান অবস্থা ও করণীয় শীর্ষকসংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংস্থার আইন বিষয়ক কর্মকর্তা এড. মুহা. মুনিরুদ্দীন। এসময় সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তা ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিকরাউপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি ধর্ষণ ও নির্যাতনের উপমা দিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয় জেলার শ্যামনগর উপজেলার কাশিপুর, কালিঞ্চি ও শ্রীফলকাটি সহ বিভিন্ন এলাকার আদিবাসি মুন্ডাসম্প্রদায়ের জমি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। কয়েক বছর ধরেই তারা প্রতিনিয়ত হুমকির শিকার হচ্ছেন । একই সাথে রক্ষায় মামলার ঘানি টানতে হচ্ছে বছরের পর বছর।তালা উপজেলার মুবারকপুরের আরতি রাণী দাশ ও সুনীল দাশের মতো অনেককে ছাড়তে হয়েছে ভিটিবাড়ি।
এমতাবস্থায় সংস্থাটি ৯৮টি মামলায় ১২৮জনকে আইনী সহায়তা দিয়েছে। জেলা কারাগারের ৬০জন আসামিকে আইনী সহায়তা দিয়েছে। ১৮ জন আরপি আসামিকে মুক্ত করেছে সংস্থাটি।
সংবাদ সম্মলনে সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয় নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে হবে। বিচার ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ করে মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত ঘটনার দ্রুত বিচারেরব্যবস্থা করতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বাল্যবিবাহ শূন্যে নামাতে হবে। সর্বোপরি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিদ্যমান আইন কার্যকর করতে হবে।
Check Also
আশাশুনিতে টঙ্গী ইজতেমায় হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।ঢাকার টঙ্গীত ইজতেমা-মাঠে নিরীহ মুসল্লিদের উপর উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের বর্বরোচিত হামলা ও পরিকল্পিত …