ক্রাইমবার্তা রিপোট:বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ব্যালটের রাজনীতির পরিবর্তে দেশে এখন বুলেটের রাজনীতি চলছে।
তিনি আজ শুক্রবার এক সভায় বলেছেন, মানুষ আর স্বৈরতন্ত্রকে মানবে না। তারা দেশে ৫ জানুয়ারি মার্কা একতরফা কোনো নির্বাচনও হতে দেবে না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তারা দেশে নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি আদায় করবে।
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, স্বাধীনতার সুফল পেতে হলে ভারতের সাথে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তিসহ দ্বিপক্ষীয় সব সমস্যার সমাধান হওয়া দরকার। অন্যথায় প্রতিরক্ষা চুক্তি করে কী হবে, এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
সংগঠনের আহ্বায়ক মহসিন সরকারের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (জাফর) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান টিআইএম ফজলে রাব্বি চৌধুরী, মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, যুগ্ম-মহাসচিব এএসএম শামীম প্রমুখ।
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, একাত্তর সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা পেলেও আমরা এখনো অস্তিত্বের সঙ্কটে আছি। আমরা মনে করেছিলাম, স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাবে। কিন্তু সেটা হয়নি। কারণ, দেশে গণতন্ত্র নেই, কথা বলার অধিকার নেই। অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত করুণ।
স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ভারত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ। তাদের সাথে সম্প্রীতি রক্ষা করে চলা আমাদের কাজ। কিন্তু আমরা দেখছি, আমাদের প্রতি ভারতের আচরণ বন্ধুত্বসূলভ নয়। আমাদের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার একটি আচরণ তাদের মধ্যে লক্ষ করছি।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে নোমান বলেন, বলা হচ্ছে- প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি হবে না। তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন চুক্তি, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করাসহ অন্য দ্বিপক্ষীয় সমস্যার সমাধান না হলে ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি করে কী হবে? স্বাধীনতার সুফল পেতে হলে এসব সমস্যার সমাধান দরকার। তাই ভারত সফরে দেশটির সাথে বিদ্যমান এসব সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০ দলীয় ঐক্যজোটের মাধ্যমে দেশে সংগ্রাম ত্বরান্বিত হবে এবং আমরা দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে পারব।