আকবর হোসেন, তালা: তালা উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ব¬াস্ট রোগের আক্রমনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শত শত বিঘা ধান । সর্বশান্ত হচ্ছে শতশত কৃষক । অনেক আশা নিয়ে জমিতে ধান লাগিয়েছে কৃষকরা ধানে এবার বাম্পার ফলনের আশা জাগিয়েও শেষ মুহুর্তে ব¬াস্ট রোগের আক্রমনে পথে বসিয়ে দিচ্ছে কৃষকদের । এবার তালা উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চাইতে বেশী পরিমান জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদ হয়েছে,কিন্তু শেষ মুহর্তে পোকার আক্রমনে হতাশ কৃষকরা। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার তালা সদর ইউনিয়ন,তেঁতুলিয়া, মাগুরা, খলিলনগর, ইসলামকাটি, কুমিরা ইউনিয়নসহ আশপাশের বিভিন্ন ইউনিয়নের অধিকাংশ বিলে ব¬াস্ট রোগের আক্রমনে ধানের শীষ শুকিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে হারিয়ে যাচ্ছে কৃষকের মুখের হাঁসি। উপজেলার সদর ইউনিয়নের রহিমাবাদ গ্রামের মোঃ আমিরুল ইসলাম বলেন, বাকিতে সার বীজ নিয়ে বহুকষ্টে ৮ বিঘা জমিতে ইরি ধানের চাষাবাদ করেছি। সঠিক পরিচর্যা ও করেছি কিন্তু শেষ মুহুতে অজানা এক রোগের কারণে ধানের শীষ শুকিয়ে যাচ্ছে এখন আমি সর্বশান্ত হয়ে গেছি । কিভাবে পাওনাদারের টাকা পরিশোধ সহ সারা বছরের খাদ্য সংরক্ষন করব তা ভেবে এখন আমার গলা গুকিয়ে যাচ্ছে। একই কথা জানান, খলিলনগর ইউনিয়নের হরিশচন্দ্রকাটী গ্রামের গফুর মোল্যা, তালা খাজরা গ্রামের নজরুল ইসলাম, মোবারকপুর গ্রামের মোঃ ইকবল হোসেন, তেতুঁলিয়ার সাত্তার মোড়ল, মোস্তাফিজ গাজী, মাগুরার আব্দুল মোল¬্যা, ইসলামকাটির আজিজ শেখ, খলিলনগরের আনার আলী মোড়ল সহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকগণ । তারা কান্না জড়িত কন্ঠে তাদের বেদনার কথা প্রতিবেদক কে জানান।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ১৬ হাজার ৪০০হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলায় জলাবদ্ধতা না থাকায় উপজেলার তেঁতুলিয়া, মাগুরা, খলিলনগর, ইসলামকাটি, কুমিরা সহ আশপাশের উপজেলায় সর্বত্রই লক্ষ্য মাত্রার চাইতে বেশী জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামছুল আলম জানান, গত কয়েকদিন আগে বৈরী আবহাওয়ার কারনে ব¬াস্ট নামক এক ধরনের ভাইরাস উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। যে কারনে ধানের শীষ শুকিয়ে যাচ্ছে। আমরা উপজেলার সকল কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তাদের কৃষকদের পরামর্শ প্রদানে জরুরী বার্তা পাঠিয়েছি। কৃষকদের জমিতে টাটাভো, নাটিভো, স্টেনজা, এমিস্টারটপ ও ফিলিয়া সহ নানা ধরনের ঔষধ স্প্রে করার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। তাছাড়া জমিতে পানি রাখলে কিছুটা উপকারে আসবে। এছাড়া তিনি আরও বলেন, এবছর আবহাওয়া ভাল থাকার কারনে অনেক এলাকায় চাষাবাদ হয়েছে। আমন চাষ কিছুটা কম হলেও ইরিবোরো চাষাবাদে পুষিয়ে নিতে অনেক আগেভাগে কৃষক চাষাবাদ শুরু করে। অনেক নিচু এলাকায় পানি সেচের মাধ্যমে কৃষক চাষাবাদ করেছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ কৃষক ব্রি- ২৮ বেশী পরিমান জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। এছাড়া বিনা-৮, বিনা-১০ ও কিছু এলাকায় লবণ সহায়ক ধান চাষাবাদ হয়েছে।
Check Also
সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসার হিফজুল কুরআন বিভাগের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, দস্তরবন্দি, সম্মাননা প্রদান ও মিলন মেলা অনুষ্ঠিত
আব্দুল করিম,নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসার হিফজুল কুরআন বিভাগের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে …