নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে আ’লীগ কওমী মাদ্রাসার সঙ্গে সম্পর্ক করছে

ক্রাইমবার্তা রিপোট:নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার কওমী মাদ্রাসার সঙ্গে সম্পর্ক করছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

বৃহস্পতিবার বিকালে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, এখন আওয়ামী লীগ  যে নির্বাচনী প্রচারণায়  নেমেছে, তার আরেকটা প্রমাণ হলো কওমী মাদ্রাসার সঙ্গে সভা করা। এর আগে উনি (প্রধানমন্ত্রী) মাওলানা সাহেবদের সঙ্গে একটা মিটিং করলেন। মঙ্গলবার করলেন কওমী মাদ্রাসার সঙ্গে সভা। এর উদ্দেশ্যটা কী? উদ্দেশ্যটা আল্লামা শফী। এখন এদের সঙ্গে গিয়ে তারা (আওয়ামী লীগ) ভিড়ছে।

মওদুদ বলেন, কওমী মাদ্রাসার মিটিং তিনি (প্রধানমন্ত্রী কী  ঘোষণা করলেন? উনি বললেন  যে, দাওরা ডিগ্রি  যেটা কওমী মাদ্রাসার  দেয়া হয়, সেটা এমএ ক্লাসের সমমানের হবে। অথচ এ বিষয়টা আমাদের সময়ে সিদ্ধান্ত  নেয়া। আমরা ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে গ্যাজেটও প্রকাশ করা হয়েছে।

জাতীয়  প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী মানবাধিকার পরিষদের উদ্যোগে ‘ জঙ্গিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য: সরকারের ভূমিকা ও জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।

২০০৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে খেলাফত মজলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের পাঁচ দফা চুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে মওদুদ আহমদ বলেন,আওয়ামী লীগ ভোটের জন্য ২০০৬ সালের নির্বাচনের তফসিলের  ঘোষণার আগে পাঁচ দফা চুক্তি করেছিল বাংলাদেশের সবচাইতে রক্ষণশীল খেলাফতে মজলিশ। জামায়াতে ইসলামী এদের কাছে তুলনায় কিছুই না। খেলাফত মজলিশের সঙ্গে আপোস করেছেন নির্বাচনে জেতার জন্য। জলিল সাহেব (প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল)  তাদের পাঁচ দফা চুক্তি সই করেছেন। তিনি নিজে পত্রিকাকে বলেছেন, আমি এটা নেত্রীর নির্দেশে করেছি।

মওদূদ অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ এখন ভোটের রাজনীতিতে চলে গেছে। আজকে দেখলাম যে তাদের তিন‘শ আসনের জন্য তিন হাজার প্রার্থী অলরেডি প্রসেস তারা করেছে। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীরা সরকারের খরচে সমস্ত কিছু আয়োজন করে সভা করে নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছেন। আর আমাদেরকে কী করেছে? আমাদেরকে অনেকটা তালাবন্দি করে রেখেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ভারত সফরে কোনো সফলতা নেই দাবি করে সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের  মৌলিক দাবির ব্যাপারে আমরা কোনো রকমের সমাধান দেখতে পাইনি। আমার মনে হয়, কুটনীতিতে এটা ভারতের বিজয় হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকার হেরে গেছে। এই সফরের মাধ্যমে আমরা কোনো কিছুই অর্জন করতে পারি নাই।

ভারত সফরে ৬২ দফা যৌথ ইশতেহারে যৌথ নদী কমিশন ও বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসের বিষয়ে কোনো কথা লেখা না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মওদুদ বলেন, আমাদের পানির হিস্যা, সীমান্ত হত্যা,পাট কারখানাগুলো বাঁচিয়ে রাখার ব্যাপারে  কোনো উদ্যোগ  দেখি নাই। এতো ব্যবসায়ীদের নিয়ে গেলেন, কই বাণিজ্য ঘাটতির ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেই ইশতেহারে নেই।

 

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।