সংবাদ সম্মেলনে হামলার চেষ্টা রাজাপুরে সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী স্কুল দখলের অভিযোগ

ক্রাইমবার্তা রিপোট:রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি:ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা শাখার সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোঃ জুলফিকার আলী হাওলাদারের বিরুদ্ধে আঙ্গারিয়া গ্রামে নবপ্রতিষ্ঠিত বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় তার কিছু আত্মীয়স্বজন নিয়ে দখলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 12 শনিবার দুপুরে আঙ্গারিয়া গ্রামের নিজবাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোঃ মিরাজ খান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মিরাজ খান অভিযোগ করে জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিবন্ধিত অগ্রদূত সংস্থার একাধিক প্রকল্পের মধ্যে শিক্ষা প্রকল্পের আওতায় আঙ্গারিয়া গ্রামে বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন মিরাজ খান এবং অগ্রদূত সংস্থার তিনি একজন পরিচালক। বিদ্যালয়টির জন্য স্থানীয় শাহজাহান তালুকতার তার ছেলে আল ইমরান রাজুকে চাকুরিতে অগ্রাধিকার দেয়ার শর্তে ১৫ শতাংশ জমি দলিলমূলে লিখে দেন এবং ওই জমিতে স্থানীয় জাহাঙ্গীর হাওলাদারের মেয়ে লুবানা আক্তারকে চাকুরিতে অগ্রাধিকার দেয়ার শর্তে একটি ঘর উত্তোলন করে দেন। তখন রাজাপুর উপজেলা শাখার সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোঃ জুলফিকার আলী হাওলাদার ওই স্কুলের সাথে কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও তিনি সেচ্ছায় বিদ্যালয়ের সহযোগীতা করার আশ^াস দেয় কিন্তু পরবর্তীতে জুলফিকার আলী ওই স্কুলে বিভিন্ন পদে চাকুরি দেয়ার শর্তে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে জনপ্রতি ২ থেকে ৫ লাখ টাকা করে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জানতে পারেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মিরাজ খান। এমন পরিস্থিতে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মিরাজ খান পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ কমিটির সাক্ষাৎকার বোর্ডের উত্তীর্ণদের কেবল নিয়োগ দেয়া হবে বলে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মিরাজ খান ঘোষণা দিলে উপজেলা শাখার সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোঃ জুলফিকার আলীর সাথে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মিরাজ খানের বিরোধ সৃষ্টি হয় এবং জুলফিকার আলী ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদ দাবি করে। কিন্তু অগ্রদূত সংস্থার বিধিমতে কোন দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি সংস্থার পরিচালিত কোন কর্মকান্ডে বা কোন পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবে না। যেহেতু জুলফিকার আলী পূবালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার থাকাকালীন জাল টাকার ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার মামলায় তার সাজা হয় এবং তার চাকুরিও চলে যায়। জাল টাকা নিয়ে গ্রেফতার হওয়া ঘটনার সংবাদ ২০০৩ সালের ৩ আগস্ট ২ পৃষ্ঠায় ৩ কলামে ছাপাও হয়েছিলো। এসব কারনে তিনি সভাপতি পদ না পাওয়ার ক্ষোভে জুলফিকার যেসকল ব্যক্তির কাছ থেকে চাকুরি দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তাদেরকে মিরাজ খানের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ ছড়িয়ে মিরাজ খানের সুনামক্ষুন্ন ও বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে এবং জুলফিকার, তার ছেলে সেনাসদস্য রাজু ও জুলফিকারের ভাই জাহাঙ্গীর বর্তমানে মিরাজ খানকে বিভিন্ন সময় এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে অন্যথায় জানে মেনে ফেলা লাশ গুমের করে ফেলার হুমকি দেয় বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন মিরাজ খান। সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব, পুলিশ ও প্রশানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। াএদিকে সংবাদ সম্মেলন শুরুর পূর্বে মিরাজ খানের বাড়িতে গিয়ে জুলফিকারের ইন্ধনে তার ভাড়াটিয়া আল ইমরান রাজু, লুবনা আক্তার, মিরাজ হোসেন, জিন্নাত জাহান রিমা, আসমা আক্তার, আল আমিন হোসেনসহ ১০/১৫ জন লোজ হামলার চেষ্টা চালালে বাড়ির লোকজনের তোপের মুখে পালিয়ে সটকে পড়ে। এ ঘটনায় মিরাজ খান রাজাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এবিষয়ে অভিযুক্ত রাজাপুর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোঃ জুলফিকার আলী হাওলাদার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তার কাছে নাকি টাকা পাবে, এ জন্য কিছু লোকজন তার বাড়িতে গেছিলো।

রাজাপুরে গৃহবধূকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ
রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
ঝালকাঠির রাজাপুরে ছনিয়া আক্তার (২২) নামে সন্তানের জননীকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের পুকুরিজানা গ্রামের আকতার আলী মৃধার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ শনিবার সকালে পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়ে গেছে। ছনিয়ার বাবা ফারুক হোসেন অভিযোগ করে জানান, শুক্রবার গভীর রাতে ছনিয়াকে মারধর করে তার আকতার আলী মৃধার ছেলে স্বামী সুমন মৃধা ও তাদের লোকজন মিলে ছনিয়াকে মারধর করার একপর্যায়ে তার মৃত হয়। পরে ঘরের পিছনের নতুন পাকের ঘরের চৌকাঠের সাথে ওড়না লাগিয়ে তাকে ঝুলিয়ে রাখা হয়। যেখানে তাকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, সেখানে পায়ের নিচেই চৌকাঠ এবং হাতের কাছেই খুটি রয়েছে, এছাড়া মুখও স্বাভাকি এসব কারনেই বোঝা যায় যে তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ছনিয়ার স্বজনরা জানান, ৪ বছর আগে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের পুকুরিজানা গ্রামের আকতার আলী মৃধার ছেলে সুমন মৃধার সাথে ছনিয়ার বিয়ে হয়। ১১ মাস বয়সের ১টি কন্যা সন্তানও আছে তাদের। বিদেশে যাওয়ার জন্য ছনিয়ার পরিবারে কাছে সুমন ২ লাখ টাকা দাবি করে আসছিলো। এ নিয়ে ছনিয়ার স্বামী, শাশুড়ি ও নোনদের সাথে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হত ছনিয়ার। উভয় পক্ষ মিলে স্থানীয়দের সহায়তায় আবার মিমাংশাও হয়েছে অনেক বার। শেষ ভাব ঝগড়া-বিবাদ হলে ছনিয়া বাপের বাড়ি উত্তমপুরে চলে আসে। গত তিন দিন আগে সুমন মৃধা ছনিয়ার বাড়ি থেকে ছনিয়াকে নিয়ে আসে। রাজাপুর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Check Also

সাতক্ষীরা টু শ্যামনগর মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে দেবহাটায় মানববন্ধন

দেবহাটা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা টু শ্যামনগর মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। মঙ্গলবার (১৯ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।