ক্রাইমবার্তা রিপোট: ৭১’এ দেশের কিছু কুলাঙ্গার মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলো। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তাদের হাতেই আবার দেশের পবিত্র পতাকা তুলে দেয় জিয়া। আর এদেশে তাদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। এবং তারাই মুক্তিযুদ্ধের সকল নিদর্শন ধ্বংশের দিকে নিয়ে যায়।
রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নান্দনিক সৌন্দর্যম-িত আধুনিক মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিঃশেষ করে দিতে পঁচাত্তরে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তারপর ইতিহাস পাল্টে গেল, অনেকে ঘোষক হয়ে গেল, যেন বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে দিল, যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। কিন্তু বাস্তবতা হলো- জাতির জনক দীর্ঘ সংগ্রাম করে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, দেশকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির জনক দেশ গড়তে মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। এরমধ্যে তিনি যা করেছেন, তার ওপর দাঁড়িয়েই একুশ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশ গড়ায় মনোনিবেশ করে। ইতিহাস পাল্টে দেওয়ার যে চেষ্টা করা হয়, তা আওয়ামী লীগ বন্ধ করে প্রকৃত ইতিহাস প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে। মুক্তিযোদ্ধারা গর্ব করে বলতে পারেন তারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।
এ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দলিল, ঘটনা, ব্যবহৃত দ্রব্য ও অস্ত্রসামগ্রী, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অমানবিকতার নিদর্শন, মুক্তিবাহিনীর প্রতিরোধসহ মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতিসংরক্ষিত আছে এ জাদুঘরে।
মুক্তিযুদ্ধের অজানা অধ্যায়গুলো সংরক্ষণের জন্য বেসরকারি উদ্যোগে ১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি দোতলা ভবনে যাত্রা শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
২০১২ সালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সরকারের দেওয়া প্রায় এক একর জমিতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের স্থায়ী ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সম্পূর্ণ অনুদানে নির্মিত হয়েছে এ ভবন। নিচে তিনটি বেজমেন্টসহ নয় তলা ভবনের মোট জায়গা প্রায় ২ লাখ বর্গফুট। জাদুঘরে ঢুকতেই মিলবে উন্মুক্ত মঞ্চ, পাশে পানির ফোয়ারা। জাদুঘর নির্মাণে ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক জুরিবোর্ডের মাধ্যমে ৭০টি নকশার মধ্যে স্থপতি দম্পতি তানজিম ও ফারজানার স্থাপত্যকর্মটি চূড়ান্ত হয়।