ক্রাইমবার্তা রিপোট:দিনাজপুর সদর উপজেলায় যমুনা অটোমেটিক রাইস মিলে বয়লার বিস্ফোরণের পর আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুরোনো
দিনাজপুর সদর উপজেলার রানীগঞ্জে যমুনা অটোমেটিক রাইস মিলে বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় মনোরঞ্জন (৩৭) নামের আরো এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ জনে।
আজ সোমবার সকালে ওই শ্রমিক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার চাঁদগঞ্জ গ্রামে।
বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত শ্রমিক রিপনের স্ত্রী মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে মিল মালিক সুবল ঘোষ ও মিলের কর্মচারী একরামুলসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেদোয়ানুল রহিম জানান, কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে মামলার বিবরণে বলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত আরো ছয়জন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার রানীগঞ্জে যমুনা অটোমেটিক রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরিত হয়। এতে ২৮ জন দগ্ধ হন। তাঁদের প্রথমে দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২২ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতেই মোকসেদ আলী (৪৮) মারা যান। পরের দিন বৃহস্পতিবার আরিফুল ইসলামের (৪৫) মৃত্যু হয়। তাঁদের সবার বাড়ি দিনাজপুর সদর উপজেলার চাঁদগঞ্জ গ্রামে। এরপর আরো ১০ জনের মৃত্যু হয়।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন চালকলের ব্যবস্থাপক রণজিৎ বসাক, শ্রমিক শফিকুল ইসলাম, উদয়, দেলোয়ার, দুলাল চন্দ্র, অঞ্জনা দেবী, মোসাদ্দেক আলী, রুস্তম আলী, মুকুল চন্দ্র, মুন্না ও রিপন।
এ ঘটনা তদন্তে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।