ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ প্রায় শেষের দিকে। জঙ্গি হামলা ও রাজনৈতিক বিভাজনের দ্বারপ্রান্তে থাকা দেশটিতে রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনে প্রার্থী ১১ জন হলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা চার প্রার্থীর মধ্যে হবে বলা হলেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, কোনো প্রার্থীই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন নাও করতে পারেন।
চার কোটি ৭০ লাখ ভোটার থাকলেও স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ৬৯ দশমিক ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান বলছে, রোববারের এ ভোট পড়ার হার ২০১২ ও ২০০৭ সালের চেয়ে কম। ২০১২ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৭০.৫৯ ও ২০০৭ সালে ৭৩.৮৭ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভোট পড়ার এ কম হার নির্বাচনে সংকট তৈরি করতে পারে। দোদুল্যমান ২৫ শতাংশের মতো ভোটার এ ক্ষেত্রে প্রধান নিয়ামক হিসেবে দাঁড়াতে পারে। ১১ প্রার্থীর মধ্যে থেকে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই ভোটাররাই।
এদিকে বেলজিয়ামের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বুথ ফেরত এক জরিপ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উদার মধ্যপন্থী এমানুয়েল মাক্রো কট্টর-ডানপন্থি দল ন্যাশনাল ফ্রন্টের (এফএন) প্রার্থী মারিন লি পেনের চেয়ে এগিয়ে আছেন বলে জানানো হয়েছে। এগিয়ে চল নামের এক আন্দোলনের নেতা ম্যাক্রোর সঙ্গে লি পেনের তীব্র লড়াইয়ের আভাস নির্বাচনের আগের জরিপগুলোতে উঠে এসেছিল।
তবে বেলজিয়ামের গণমাধ্যমের এই বুথ ফেরত জরিপ কোথায় চালানো হয়েছে সেবিষয়ে পরিষ্কার তথ্য জানায়নি। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ৬৭ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়; চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। সংকটে জর্জরিত ইউরোপের ভবিষ্যৎতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবারের ফরাসি নির্বাচন। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাও রাখছে সতর্ক দৃষ্টি।
নির্বাচন পূর্ববর্তী জনমত জরিপে কট্টর-ডানপন্থী দল ন্যাশনাল ফ্রন্টের (এফএন) প্রার্থী মারিন লি পেনের সম্ভাবনা বেশি রয়েছে বলা হলেও বুথ ফেরত জরিপের বরাত দিয়ে বেলজিয়ামের গণমাধ্যমে এগিয়ে রাখা হয়েছে ‘এগিয়ে চল’ নামের এক আন্দোলনের নেতা উদার মধ্যপন্থী এমানুয়েল ম্যাক্রোকে। এরপরই মধ্য-ডানপন্থী রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ফ্রাঁসোয়া ফিলন থাকলেও সরকারি অর্থ লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া চার প্রার্থীর অপরজন হলেন কট্টর-বামপন্থী প্রার্থী জ্য লুক মেলাশো।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ভোট কেউ-ই না পান তবে ৭ মে দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রোববারের এ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে সে দিন লড়াই হবে।
৭ মে সবচেয়ে বেশি ভোটপ্রাপ্ত দুই প্রার্থীর মধ্যে একজন দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। এর সাতদিন পর অর্থাৎ ১৪ মে দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের কাছে থেকে দায়িত্ব নেবেন নির্বাচিত নতুন প্রেসিডেন্ট। নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন। এতে প্রত্যেকেই ইউরোপ, অভিবাসন, অর্থনীতি এবং ফ্রান্স সম্পর্কে তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
সূত্র: জাগো নিউজ
Check Also
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করেননি সমাজী
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক …