ক্রাইমবার্তা রিপোট:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিদেশ থেকে মাছ ও মাছের পোনা বা রেনু এবং মাছ জাতীয় দ্রব্য আমদানি করতে হলে আগে থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে।
কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়ে বিদেশ থেকে এগুলো আমদানি করলে আমদানিকারক আইন ভঙ্গের দায়ে দুই বছর জেল বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এমন বিধান যুক্ত করে সরকার নতুন একটি আইন করতে যাচ্ছে।
‘মৎস্য সঙ্গনিরোধ আইন-২০১৭’ নামে প্রস্তাবিত আইনের খসড়া আজ সোমবার মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বেলা ১১টায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ সভা হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম নতুন এ আইনের খসড়ার বিষয় সাংবাদিকদের বলেন, এতদিন পর্যন্ত প্রশাসনিক আদেশের বলে ব্যবসায়ীরা বিদেশ থেকে মাছ ও মাছের পোনা বা রেনু এবং মাছ জাতীয় দ্রব্য আমদানি করে আসছিল। এখন নতুন আইন কার্যকর হলে এ আইনের অধীনে একটি কর্তৃপক্ষ গঠিত হবে। এই কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পূর্বানুমতি নিয়ে বিদেশ থেকে মাছ ও মাছের পোনা বা রেনু এবং মাছ জাতীয় দ্রব্য আমদানি করা যাবে। সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ মাছ আমদানি করা যাবে না।
সচিব বলেন, কারো পুকুর বা জলাশয়ে মাছের মড়ক লাগলে তা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেলা বা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে। কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া কেউ যদি বিদেশ থেকে মাছ ও মাছের পোনা বা রেনু এবং মাছ জাতীয় দ্রব্য আমদানি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আদালত দুই বছরের কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করতে পারবেন।
এ ছাড়া আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারের গত তিন মাসের মন্ত্রিসভা বৈঠক সম্পর্কিত কার্যক্রমের প্রতিবেদন পেশ করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে ১০টি মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। এতে ১০১টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে ৪৭টি বাস্তবায়িত হয়েছে। বাস্তবায়নাধীন রয়েছে ৫৪টি।