ক্রাইমবার্তা রিপোট:: নির্বাচনকালীন নিদর্লীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সরকার সমঝোতা ও ঐক্য করলেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে। এই দুই ইস্যুতে ঐক্য না হলে বিএনপি মেনে নিবে না।
বিএনপির দাবি, নির্বাচনকালীন সরকার নির্দলীয় হতে হবে। সেই সরকার কেমন করে গঠন করা হবে। কারা কারা ওই সরকারে থাকতে পারেন এবং কেমন করে করা যেতে পারে সেই সব ইস্যুতে আলোচনা করা জরুরি। সেই অবস্থা থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ও তাদের জোটের সঙ্গে এই ইস্যুতে যত দ্রুত সম্ভব আলোচনা করবে বলেও মনে করছে। এই জন্য বিএনপি অপেক্ষা করছে। একাধিকবারও আলোচনা করা প্রয়োজন বলেও মনে করছে।
বিএনপির সূত্র জানায়, সরকারের কাছে তাদের মূল দাবি সংলাপে বসার। কারণ এই সরকারের অধিনে নির্বাচন তারা করবে না। মেনে নিবে না। কারণ তারা মনে করছে এই সরকারের অধিনে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। তাই নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে অবশ্যই এখন থেকে আলোচনা করতে হবে।
তাদের দ্বিতীয় দাবি হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন যে পুন:গঠন করা হয়েছে। সেখানেও কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। অন্তত প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে পরিবর্তন করতে হবে। আর চারজন কমিশনারের মধ্যে তরিকত ফেডারেশেনের নামের তালিকা থেকে যাদেরকে নেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে অন্তত একজনকে সরাতে হবে। সেখানে একজন বিএনপির কমিশনার পদে নিয়োগ দিতে হবে। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবে কাজ করার জন্য সুযোগ দিতে হবে।
বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, বিএনপিকে সরকার ও আওয়ামী লীগের নেতারা এখনও মনে করছে দূর্বল। কিছুই করতে পারবে না। এই মনোভাবটাতে পরিবর্তন করতে হবে। আলোচনা করেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে হবে। কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে, মামলা দিয়ে, গ্রেফতার করে এবং সমাবেশ করার ও সভা করার অনুমতি না দিয়ে যেভাবে ঠেকিয়ে রেখেছে এই ভাবে চলে না। তারা এগুলো না করলে দেখতে দেশের মানুষ কি চায়। জনগণও ভয়ে কিছু বলছে না। কিন্তু নিরপেক্ষ ভোট হলে সেখানেই জবাব দিবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে নেওয়ার জন্য সরকারকে ও আওয়ামী লীগকে বাস্তব অবস্থাটা বুঝতে হবে। সেই হিসাবে কাজ করতে হবে। সমঝোতা করতেই হবে। এর কোন বিকল্প নেই। কারণ ৫ জানুয়ারির নির্বাচন করে সরকার যে বিতর্ক তৈরি করেছিল আজও তা নিরসন হয়নি। এই কারণে আওয়ামী লীগ ও সরকারও জানে যে তারা যে পরিকল্পিত নির্বাচন করতে চায়, সেটা করা ঠিক হবে না। কারণ এতে সরকারের পক্ষে আগামী দিনে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে না। আর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি জনগণ তা মেনে নিবে না।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমীর বলেছেন, আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আমরা নির্বাচনে যাবো। এই জন্য দুটি বিষয়ে সুরহা হওয়া প্রয়োজন। তাহলো নিদর্লীয় ও নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে নির্বাচনের জন্য আর একটি হলো নির্বাচন কমিশন থেকে বিতর্কিত প্রধান নির্বাচন কমিশনকে সরাতে হবে। আর নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন কালীন সরকার রুটিন কাজ করবে। কমিশন নির্বাচনের সব কাজ করবে। এই ব্যাপারে আমরা সংলাপে বসতে চাই। বসেই সমাধান করতে হবে। সরকারকে এই ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। এরসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেই সমাধানে পৌঁছাতে হবে।
Check Also
ক্ষমতায় গেলে নারীদের সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে জামায়াত : ডা. শফিকুর রহমান
ক্ষমতায় গেলে নারীদের সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে জামায়াত মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির …