ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট: ঘুষি মেরে চট্টগ্রাম জজকোর্টের আইনজীবী পারভীন আক্তার পাপিয়ার নাক ফাটিয়ে দিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা।
গত বুধবার আদালত প্রাঙ্গণেই এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সোলায়মানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন বার কাউন্সিলের ফরম পূরণ করা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন পাপিয়া। আদালত চত্বরের রাস্তায় হুড়োহুড়ি করে পথ চলতে গিয়ে সোলায়মানের সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ব্যক্তি তাকে কিল-ঘুষি মারেন। এতে নাক থেকে ঝর ঝর করে রক্ত বেরোতে থাকে।
এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রামের আইনজীবীরা। ঢাকার আদালতের অনেক আইনজীবীও পাপিয়াকে মারধরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বিচার দাবি করেছেন এ ঘটনায় জড়িত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার।
ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান বলেন, অন্য কোনো পেশাজীবী এই হামলার শিকার হলে তারা কাজ বন্ধ রেখে ঠিকই আন্দোলন করত। কিন্তু আমাদের মধ্যে এ সুযোগ নেই। তবে ঘটনাটি খুব বেদনাদায়ক। অপরাধীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা উচিত।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অজিত শীল বলেন, নারী আইনজীবীকে মারধর ন্যক্কারজনক ঘটনা। এটা শ্লীলতাহানির শামিল। তিনি এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানান।
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ বলেন, বার কাউন্সিলের নিবন্ধন পরীক্ষায় ফরম জমা দেওয়ার শেষ দিনে গতকাল চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে গিয়েছিলেন পাপিয়া। পথে সোলায়মানের সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। এ সময় বিষয়টির প্রতিবাদ করলে কথাকাটাকাটি হয়। এরপর সোলায়মান তাকে ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দেন। পরে অন্য আইনজীবীরা সোলায়মানকে ধরে আইনজীবী সমিতির অফিসে নিয়ে যান।
এদিকে, পাপিয়াকে মারধরের ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচ এম জিয়াউদ্দিন বলেছেন, বায়েজিদ বোস্তামী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সোলায়মান দোষী প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।