ইসলাম-বিদ্বেষী শক্তি কোণঠাসা হয়ে পড়েছে : আল্লামা শফি

ক্রাইমবার্তা রিপোট:এক শ্রেণীর মিডিয়া ও ব্যক্তি বিশেষের কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক বিতর্ক তৈরি, অপপ্রচার ও অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামকে রাজনীতির সাথে জড়িয়ে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচারের নিন্দা জানিয়ে তার প্রতিবাদ করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

শনিবার বিকেলে সংবাদপত্রে প্রেরিত এক বিবৃতিতে হেফাজত আমির বলেন, কওমি মাদ্রাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে ও দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্সের (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান দেয়ায় বাম ও সেকুলার গোষ্ঠী ও ইসলাম বিদ্বেষী মিডিয়ার গায়ে জ্বালা ধরেছে। তারা একদিকে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা পদ্ধতির ছিদ্রান্বেষণে হাস্যকর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে সিলেবাস নিয়ে অমূলক প্রশ্ন তুলছে ও কওমি সনদের মানদান নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছে। অন্যদিকে হেফাজতে ইসলামকে কওমি মাদ্রাসার সাথে একাকার করে বিদ্বেষমূলক নানা মিথ্যা কাহিনী ফেঁদে ঈমান-আকিদাভিত্তিক অরাজনৈতিক সংগঠনটিকে রাজনৈতিক রূপদানের ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি কোনো কোনো মিডিয়া ব্যক্তিগতভাবে আমার নামেও মিথ্যা গল্প তৈরি করছে।

তিনি বলেন- স্কুল পাঠ্যবই, গ্রিক দেবি থেমিস ও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রসঙ্গে সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তে রুষ্ট হয়ে সরকারকে বিভ্রান্ত করে জনবিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা থেকেই তারা এসব করছে।

বিবৃতিতে হেফাজত আমির আরো বলেন, কওমি মাদ্রাসায় প্রয়োজনীয় সাধারণ জ্ঞানের পাশাপাশি উচ্চতর আরবি ভাষাজ্ঞান ও পবিত্র কুরআন-হাদিসের সর্বোচ্চ স্তরের মৌলিক শিক্ষা দেওয়া হয়। পূর্বসূরি বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরাম ব্যাপক গবেষণা ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই কওমী মাদ্রাসার জন্য মানোত্তীর্ণ সিলেবাস প্রণয়ন করেছেন। তিনি বলেন, কুরআন-হাদিস ও ইসলামি জ্ঞানে পান্ডিত্য রাখা একজন বিজ্ঞ আলেম ছাড়া কওমি শিক্ষার মান নিয়ে বাইরের কারো মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা কখনোই যথার্থ হবে না। যেমন মেডিক্যাল শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে একজন প্রকৌশলী বা আলেমের পর্যালোচনা যথার্থ হবার কথা নয়।

হেফাজত আমির বলেন, সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার নানা বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনে সময় এবং পদ্ধতিগত তারতম্য থাকাটা স্বাভাবিক। কোন বিষয়ে সর্বোচ্চ জ্ঞান অর্জন করতে কত বছর সময় লাগবে, সেটা সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিজ্ঞজনরাই গবেষণা করে নির্ধারণ করে থাকেন। সকল বিভাগে পৃথক পৃথকভাবে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত পাঠদানের সময় তো এক রকম হয় না। তিনি বলেন, যারা কওমি সিলেবাস ও শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, মূলতঃ তারা ধারাবাহিকভাবে ইসলামী আকিদা-বিশ্বাসের নানা দিক এবং মাদ্রাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অপপ্রচার ও কটূক্তির জন্য আগে থেকেই পরিচিত। তারা অসৎ উদ্দেশ্য থেকেই এসব প্রশ্ন তুলে থাকতে পারেন।

আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, ভোগবাদী চিন্তা থেকে তারা মনে করেন শিক্ষাকে হতে হবে টাকা উপার্জনের উপায়। অর্থাৎ- টাকা কামানোই হবে শিক্ষার লক্ষ্য, এ ছাড়া শিক্ষার আর কোনো ভূমিকা থাকতে পারবে না। এমন চিন্তা থেকেই তাদের মানসিক, আত্মিক কিংবা প্রজ্ঞার বিকাশ ঘটানোর কারণে তারা ধর্মীয় শিক্ষার বিরুদ্ধে ঘোরতর বিরোধিতা শুরু করে।
তিনি বলেন, ভোগবাদীরা এমন শিক্ষাব্যবস্থার বিস্তার ঘটাতে চায়, যা দিয়ে স্রেফ কলকারখানা কিংবা তাদের ব্যবসার জন্য শ্রমিক, কর্মকর্তা তৈরী হয়। তারা তখন আধ্যাত্মিক শিক্ষা তথা আধ্যাত্মিক, নৈতিক কিংবা দার্শনিক শিক্ষা- যাকে এখনও পাশ্চাত্যে ‘লিবারেল এডুকেশন’ বলা হয়- তার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। তারা দাবি করে আমাদের কোনো আধ্যাত্মিক শিক্ষার দরকার নেই। ধর্ম শিক্ষার তো প্রশ্নই আসে না। নীতিবিদ্যা পাঠ করা কিংবা নৈতিক শিক্ষারও বা কী দরকার?

হেফাজত আমির বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেতে চাই, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় কখনো শিক্ষার্থীদেরকে অন্যের গোলামি করবার বা শ্রমের বাজারে সস্তা শ্রমিক হিসেবে নিজেকে বেচা-বিক্রি করবার শিক্ষা দেয় না। মাদ্রাসা শিক্ষার বিরোধিতা করতে গিয়ে এই ভোগবাদীরা ভুলে যান যে, ধর্মশিক্ষা ও ধর্মচর্চার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ইসলাম যেহেতু মানুষকে ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ বা সৃষ্টির সেরা জীব গণ্য করে এবং মানুষ আল্লাহর খলিফা হিসাবেই ইহলৌকিক জগতে হাজির। অতএব, প্রতিটি মানুষের এমন কিছু আধ্যাত্মিক গুণ রয়েছে, যার বিকাশ ঘটানোই শিক্ষার কাজ।

তিনি বলেন, এটা অনস্বীকার্য যে সমাজে বৃত্তিমূলক দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজন আছে, যাকে আমরা সাধারণভাবে বলি- সমাজে কিছু একটা করে চলতে পারার অবলম্বনের শিক্ষা। কওমি মাদ্রাসা মানুষের এই চাহিদাকে মোটেও অস্বীকার করে না। কিন্তু মাদ্রাসার দায়িত্ব নয়, কলকারখানা অফিস আদালতের জন্য শিক্ষার নামে শ্রমিক, কর্মকর্তা সরবরাহ করে কলকারখারখানা ও ব্যবসা সচল রাখা। অথচ আধুনিক বা পুঁজিবাদী শিক্ষার এটাই প্রধান উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, ইসলামী তা’লিমের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, সঠিক ধর্মীয় জ্ঞানদানের পাশাপাশি সৎ ও সাচ্চা মানুষ তৈরি করা, যার মধ্যে সর্বোচ্চ নৈতিক গুণাবলির সন্নিবেশ ঘটবে। এই নৈতিকতার আদর্শ হচ্ছে রাসূলুল্লাহ (সা.)এর অনুসৃত সুন্নাহ।

বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম প্রসঙ্গেও আল্লামা শাহ আহমদ শফী কথা বলেন। তিনি কয়েকটি গণমাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেফাজতে ইসলাম অংশ নিবে এবং নির্বাচন কমিশনে নাম নিবন্ধনের আবেদন করছে শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদকে সর্বৈব মিথ্যাচার আখ্যা দিয়ে বলেন, দাওরায়ে হাদিসের সনদকে সরকারিভাবে মান দেওয়ার পর থেকে ইসলাম বিদ্বেষী অপশক্তি নতুনভাবে উলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে নেমেছে। তাছাড়া কথায় কথায় ইসলাম বিরোধিতা এবং মঙ্গল শোভাযাত্রা ও থেমিস প্রসঙ্গসহ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে বাম সেকুলারপন্থীদের ইসলাম বিদ্বেষ ও ভন্ডামির মুখোশ দিন দিন উন্মুক্ত হয়ে পড়াটাও আলেম-ওলামার বিরুদ্ধে তাদের আক্রোশ বেড়ে যাওয়ার কারণ।

তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা বার বার স্পষ্ট করে বলে আসছি যে, হেফাজত সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ধর্মীয় ও আদর্শিক একটি সংগঠন। সিপাহী বিদ্রোহের (১৮৫৭) পর ঔপনিবেশিক আমল থেকেই গোলামির জিঞ্জির ভাঙবার যে লড়াই শুরু হয়েছে, মাদ্রাসা তারই ধারাবাহিকতা মাত্র। হেফাজতে ইসলাম ঈমান-আক্বীদা ও ইসলাম ধর্মীয় বিষয়সহ দেশাত্মবোধ ও জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে কাজ করে যাবে। যেসব ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দল ঈমান-আকিদা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিপূর্ণ সমাজ গঠন এবং দেশের স্বার্থে কাজ করবে, তারা পরোক্ষভাবে হেফাজতের আন্দোলনের কারণে উপকৃত হবে। তবে হেফাজত কখনোই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বা রাজনীতিতে জড়াবে না। ভোটের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাউকে সমর্থনও যোগাবে না। এরপরও কিছু মিডিয়া কর্তৃক হেফাজতকে রাজনৈতিক রূপদানের চেষ্টা বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা ছাড়া আর কী হতে পারে?

আল্লামা শফী আরো বলেন, আমি কয়েকটি পত্রিকায় দেখেছি, হেফাজতকে নতুনভাবে রাজনীতি সংশ্লিষ্ট করে কাল্পনিক খবর তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে। দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট সংবাদ প্রতিবেদনসমূহের শিরোনামের সাথে ভেতরের বর্ণনার কোনো মিল নেই। ভেতরের বর্ণনার শুরু এক রকম, শেষ অন্য রকম। এক বাক্যের সাথে আরেক বাক্যের মিল নেই। যে কোনো সাধারণ মানুষ এসব সংবাদ প্রতিবেদন পড়লেই বুঝতে পারবেন যে, এগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ ছাড়া কিছু নয়। এসব খবরে হেফাজতের যেসব নেতার নাম উদ্বৃত করা হয়েছে, আমি তাদের সাথে কথা বলে জেনেছি, উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের বক্তব্যে পরিবর্তন এনে বিকৃত করা হয়েছে।

আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, আমি আবারো স্পষ্ট করে বলছি হেফাজতে ইসলাম সাংগঠনিকভাবে কখনোই রাজনীতিতে জড়াবে না, ভোটের রাজনীতিতে কাউকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সমর্থন দেবে না। সুতরাং সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া বা রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন করার খবর সম্পূর্ণই উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যাচার। দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে গণমাধ্যমের উচিত, হেফাজত সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের যে কোনো বিষয়ে খবর প্রচারের আগে সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে সরাসরি বক্তব্য নিয়ে নিশ্চিত হওয়া এবং যেসব নেতার বক্তব্য নেওয়া হয়, কোনো পরিবর্তন না করে সেটাকে যথাযথভাবে প্রকাশ করা।

বিবৃতিতে হেফাজত আমির বলেন, কয়েকদিন আগে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় রেলওয়ের জায়গার সাথে আমাকে জড়িয়ে একটি নিন্দনীয় মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে। তিনি বলেন, দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার জায়গা সংকটের কারণে প্রশাসনিক সকল বিধি ও নিয়ম মেনেই হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আগে ২০০৯ সালে পার্শ্ববর্তী রেলওয়ের কিছু পরিত্যক্ত জায়গা মাদ্রাসার নামে বিধিসম্মত মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে লিজ পেতে আবেদন করা হয়। প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক হিসেবে আবেদনপত্রে আমার স্বাক্ষর থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু পত্রিকাটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার ভাবমর্যাদা ও সুনামহানির অসৎ উদ্দেশ্যে রেলওয়ের জায়গা আমাকে দেওয়া হচ্ছে বলে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে। পত্রিকাটি এই সংবাদ তৈরির সময় আমার সাথে বা দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার কোনো শিক্ষক-কর্মকর্তার সাথে কোনরূপ যোগাযোগ করেনি ও বক্তব্য নেয়নি। তিনি বলেন, একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা মাদ্রাসা শিক্ষা ও উলামায়ে কেরামের প্রতি কতটা বিদ্বেষ পোষণ থেকে এমন মিথ্যা নিউজ প্রচার করতে পারে, এ থেকে তা সহজে অনুমেয়।

আল্লামা শাহ আহমদ শফী আরো বলেন, পত্রিকাটি ‘হেফাজত-বিএনপি গোপন যোগাযোগ বহাল’ এবং ‘গোপন আলোচনায় হেফাজতের ভিন্ন সুর’ শীর্ষক আরো দু’টি উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছে। পত্রিকাটির উলামা-মাশায়েখ, মাদ্রাসা শিক্ষা ও হেফাজত বিদ্বেষী ভূমিকার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, জানা গেছে, শোনা গেছে, ধারণা করা যাচ্ছে, গোপন সূত্রে প্রকাশ উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ তৈরি কখনোই সৎ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নয়। তিনি বলেন, হেফাজতের কোনো কার্যক্রমে গোপনীয়তা নেই। আমাদের সকল কার্যক্রম স্পষ্ট ও প্রকাশ্য। কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যেমন আমাদের বিশেষ কোনো সখ্য নেই, তেমনি শত্রুতাও নেই। ঈমান-আকিদা এবং ধর্মীয় বিষয় ও জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে আমরা যে কারো সাথে কথা বলার অধিকার রাখি। এতে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা খোঁজার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, ওলামায়ে কেরামের যে কোনো ইতিবাচক অর্জনে ইসলাম বিদ্বেষী বাম সেকুলারপন্থীদের যেন গায়ে জ্বালা শুরু হয়ে যায়। তবে আশার কথা হচ্ছে, জনগণ এদের ভন্ডামি ভালোভাবেই ধরে ফেলেছে এবং দিন দিন এদের মুখোশ খসে পড়ছে। চতুর্দিক থেকে ইসলাম বিদ্বেষী অপশক্তি আরো বেশি কোণঠাসা হয়ে পড়ছে।

 

Please follow and like us:

Check Also

অনিশ্চয়তার নতুন যুগে মধ্যপ্রাচ্য

ইউক্রেন-রাশিয়া রেশ কাটতে না কাটতেই ফিলিস্তিনের গাজায় শুরু হয় ইসরাইলি আগ্রাসন। এরপর থেকে অশান্ত হতে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।